পূর্ব মেদিনীপুরে দীর্ঘদিন করোনার প্রথম ডোজের টিকা বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হল। প্রাথমিকভাবে শিশুর মায়েদের ও পুরসভা এলাকায় বস্তিবাসীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় ডোজের ‘ডিউ লিস্ট’ দ্রুত গতিতে পূরণ…
পূর্ব মেদিনীপুরে দীর্ঘদিন করোনার প্রথম ডোজের টিকা বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হল। প্রাথমিকভাবে শিশুর মায়েদের ও পুরসভা এলাকায় বস্তিবাসীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় ডোজের ‘ডিউ লিস্ট’ দ্রুত গতিতে পূরণ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় ১৬ লক্ষ ৯৫ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জেলাশাসক পূর্নেন্দু মাজি জানিয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের সিএমওএইচ বিভাস রায় বলেন, এই মুহূর্তে কোভ্যাকসিনের জোগান নেই। তাই ওই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু, কোভিশিল্ডের জোগান এখন মোটামুটি স্বাভাবিক। তাই দ্বিতীয় ডোজের পাশাপাশি আমরা প্রথম ডোজও শুরু করেছি। সেক্ষেত্রে ১২ বছর পর্যন্ত সন্তানের মায়েদের এবং পুরসভা এলাকায় বস্তিবাসীদের মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, দ্বিতীয় ডোজের ‘ডিউ লিস্ট’ সম্পূর্ণ হলেই পুরোদমে প্রথম ডোজের টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে।তমলুক পুরবোর্ডের প্রশাসক দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় জানান, জেলা সদর শহরে মোট ২৪টি বস্তি রয়েছে। শুক্রবার থেকেই বস্তিবাসীদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ জনকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। হলদিয়া পুরসভার বস্তি এলাকায় প্রায় ন’হাজার পরিবারে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। এই পর্বে প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিনের টার্গেট নিয়েছে হলদিয়া পুরকর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার থেকেই জেলায় তমলুক, পাঁশকুড়া, হলদিয়া, কাঁথি ও এগরা শহরের বস্তি এলাকায় প্রথম ডোজের টিকা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে গোটা জেলায় শিশুর মায়েদের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া চলছে। এর আগে নবান্নের প্রতিনিধি হিসেব শ্রম দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বরুণকুমার রায় জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শিশুর মায়েদের তালিকা সংগ্রহ করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একটি টিকার সাহায্যে দু’টি প্রাণ বাঁচানোর লক্ষ্যেই রাজ্যের এই উদ্যোগ।
No comments