কভিড19 সারাদেশের সাথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একসময় মৃত্যুর মিছিল চলছে ।সেজন্যই রাজ্য সরকার তৃতীয়বারের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছেন। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত। এমনিতেই কাজ বন্ধ …
কভিড19 সারাদেশের সাথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একসময় মৃত্যুর মিছিল চলছে ।সেজন্যই রাজ্য সরকার তৃতীয়বারের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছেন। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত। এমনিতেই কাজ বন্ধ তার উপরেই গত ২৬ শে মে যশ ও বুদ্ধ পূর্ণিমার জলোচ্ছ্বাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হুগলি,হলদি, রূপনারায়ন, কাসাই নদী বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বহু ঘরবাড়ি ইটভাটা জলের তলায় চলে যায়। গবাদি পশু প্রাণী সম্পদ নদীর জলে ভেসে গেছে। লকডাউন এর জন্য বিভিন্ন জায়গায় কাজ বন্ধ ।লকডাউন কে মান্যতা দিয়ে বিধি-নিষেধ ছাড় দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যশ ও বুদ্ধ পূর্ণিমার জলোচ্ছ্বাসে ইটভাটা বহু জায়গায় এখনও জলমগ্ন হয়ে কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছ কিন্তু ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিভিন্ন ইটভাটায় কাজ করতেন তাদের কি অবস্থা ।স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সরকার বাহাদুর নজর দেওয়া দরকার। ইটভাটার শ্রমিক কাজ বন্ধ রয়েছে হয়তো ইটভাটার মালিক তাদের কিছু সহযোগিতা করছেন ।কিন্তু তাদের পরিবার কিভাবে চলছে তা দেখতে পাওয়া গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একটি ইটভাটার ছবি ক্যামেরার মাধ্যমে।ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইটভাটার মালিকরা। টাটা থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক শান্তি ও নান্ডি বান্দ্রা তাদের কচিকাঁচা শিশুদের নিয়ে চিন্তায় বসেছে ইটভাটার চিমনির গড়ায় । ইটভাটার চিমনির গড়ায় বসিয়ে টক পান্তা ভাত খাচ্ছে তাদের কচিকাঁচারা।অসহায় অবস্থার মধ্য দিয়েও তাদের লকডাউনে জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
No comments