গত বছরের মতো এবছরও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না পাঁশকুড়ার দক্ষিণ চাঁচিয়াড়া গ্রামের সঙ্গতের জগন্নাথদেবের সুপ্রাচীন রথযাত্রা ও মেলা। সরকারী বিধিনিষেধের কারণে জগন্নাথদেব সেবাপূজা কমিটি রথটানার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে সপ্…
গত বছরের মতো এবছরও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না পাঁশকুড়ার দক্ষিণ চাঁচিয়াড়া গ্রামের সঙ্গতের জগন্নাথদেবের সুপ্রাচীন রথযাত্রা ও মেলা। সরকারী বিধিনিষেধের কারণে জগন্নাথদেব সেবাপূজা কমিটি রথটানার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে সপ্তাহব্যাপী রথের মেলাও। সঙ্গতের এই রথযাত্রা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্যে প্রাচীনতম। সুপ্রসিদ্ধ মহিষাদলের রথযাত্রার থেকেও প্রাচীন। তথ্য অনুসারে কাশীজোড়া পরগনার রাজা জিতনারায়ণ রায় (রাজত্ব কাল ১৭২০- ১৭৪৪) ১৭২৭ সালে বাংলার নবাব মুর্শেদকুলি খাঁকে সময়মতো রাজস্ব জমা না দিতে পারার জন্য কারারুদ্ধ হয়ে মুঙ্গেরে বন্দী হয়েছিলেন।এক উদাসীন ফকির তার অলৌকিক কেরামতিতে রাজাকে কারামুক্ত করেছিলেন। এরপর রাজা ফকিরকে সঙ্গে নিয়ে পুরীতে জগন্নাথ দর্শনের পরে চাঁচিয়াড়া গ্রামে এসে সঙ্গত স্থাপন করে এই জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পুরীর মঙ্গুমঠের হাতে নিত্যসেবার জন্য ৩৬০ বিঘা জমিদানসহ রথযাত্রার প্রচলন করেন। বর্তমানে মঙ্গুমঠের নির্দেশক্রমে এখানকার পূজাপাঠ স্থানীয়ভাবে পরিচালিত হয়। সুপ্রাচীন রথটি জীর্ণ হওয়ায় ২০১৩ সালে নতুনকরে নির্মাণ করা হয়েছে। এখানকার রথযাত্রার সঙ্গে এলাকাবাসীর বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এই নিয়ে পরপর দুবছর রথযাত্রা ও মেলা বন্ধ থাকছে।
No comments