পূর্বে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট নামে পরিচিত বর্তমানে ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর থেকে ৮০ মাইল এবং হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স থেকে ২৫ নটিক্যাল দূরে সাগরে পানামার পতাকা বহনকারী এই প্রথম পণ্যবাহী বিশালাকৃতি জাহাজ 'এমভি লেক ডি'…
পূর্বে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট নামে পরিচিত বর্তমানে ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর থেকে ৮০ মাইল এবং হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স থেকে ২৫ নটিক্যাল দূরে সাগরে পানামার পতাকা বহনকারী এই প্রথম পণ্যবাহী বিশালাকৃতি জাহাজ 'এমভি লেক ডি' নোঙর করায় ঐতিহাসিক মাইল ফলক অর্জন করেছে। বিশালাকৃতি এই জাহাজটি ২০১১ সালে তৈরি। চলতি বছরের ১০ই মে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাবুট পয়েন্ট থেকে রওনা দেয়। সিঙ্গাপুরে জাহাজে তেল ভরে ফের রওনা দিয়ে বিশাখাপত্তনমে ৯৫ হাজার ৮১০ এমটি পণ্য খালাস করে। এরপর জাহাজটি সাগরে নোঙর করেছে।
কলকাতায় ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের চেয়ারম্যান শ্রী বিনীত কুমার জানিয়েছেন যে, এমভি লেক ডি জাহাজ সাগরে নোঙর করায় বিশেষ সুবিধা হয়েছে। কারণ, এই জাহাজে একসঙ্গে ৬৬ হাজার মেট্রিক টন পণ্য পরিবহণ করতে সক্ষম। অন্যথায় দুই থেকে তিনটি পৃথক জাহাজ লাগবে। এই বিশালাকৃতি জাহাজে একসঙ্গে এত পরিমাণ পণ্য পরিবহণ না করলে হলদিয়া বা কলকাতা থেকে রেলপথে এই পণ্য সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে প্রচুর খরচ হত। এর ফলে, রেল পথের ভাড়া সাশ্রয় হয়েছে। শ্রী কুমার আরও জানান, শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর গত ১৫১ বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে ভারতীয় মূল বন্দর পরিচালন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বন্দরের কর্মচারীদের সক্রিয় সহযোগিতায় পণ্য ওঠা-নামানোর পরিমাণ বেড়েছে বলেও তিনি জানান। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে ৬৫ মিলিয়ন টনেরও বেশি পণ্য সম্ভার পরিচালন করা সম্ভবপর হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
No comments