Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অভিষেককে প্রকাশ্যে চড় মারা যুবকের রহস্য মৃত্যু

রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক যুবকের৷ ঘটনাচক্রে ৬ বছর আগে সেই যুবক প্রকাশ্য জনসভার মঞ্চে উঠে চড় মেরেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ স্বাভাবিকভাবেই অস্বাভাবিক ওই মৃত্যুর ঘটনায় জড়িয়েছে রাজনীতির ছোঁয়া৷ মৃত যুবকের নাম…

 




রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক যুবকের৷ ঘটনাচক্রে ৬ বছর আগে সেই যুবক প্রকাশ্য জনসভার মঞ্চে উঠে চড় মেরেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ স্বাভাবিকভাবেই অস্বাভাবিক ওই মৃত্যুর ঘটনায় জড়িয়েছে রাজনীতির ছোঁয়া৷ মৃত যুবকের নাম দেবাশিস আচার্য৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে তমলুক জেলা হাসপাতালে রহস্যজনকভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তমলুক জেলা হাসপাতালে হাজির হয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।বিজেপির তরফে পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা কনিষ্ক পণ্ডা মৃত যুবককে বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে দাবি করে অভিযোগ করেছেন, ‘‘এটা পরিকল্পিতভাবে খুনের ঘটনা৷ তদন্ত হলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুর একটি দলীয় সভায় বক্তব্য রাখছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় আচমকায় মঞ্চে উঠে অভিষেককে  চড় মেরেছিলেন তমলুকের যুবক দেবাশিস আচার্য৷ সেই সময় সংবাদের শিরোণামে এসেছিলেন দেবাশিস৷ যদিও ঘটনার পর তৃণমূল কর্মীদের হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে৷ সুস্থ হওয়ার পর তিনি ওই ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন৷ মাকে নিয়ে গিয়েছিলেন কালীঘাটে তৃণমূলনেত্রীর বাড়ি৷ ফলে সেসময় দেবাশিসের বিরুদ্ধে আইনি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি তৃণমূলকে৷নিহত যুবকের নিকটাত্মীয় শুভঙ্কর ঘোষ জানান, ‘‘বুধবার রাত ন’টা নাগাদ দাদার (দেবাশিস) বাইকে চেপে আমরা তিনজনে নেতাজি নগরে চা খেতে গিয়েছিলাম৷ ওখানে দেবাশিসদার একটা ফোন আসতে, উনি আমাদেরকে দাঁড়াতে বলে বেরিয়ে যান৷ ফিরছেন না দেখে ফোন করি৷ ফোন সুইচড অফ দেখে আমরা কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে বাড়ি চলে আসি৷ বুঝতে পারিনি, এভাবে ওকে শেষ দেখা দেখতে হবে৷’’হাসপাতাল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ এক ব্যক্তি দেবাশিসকে অজ্ঞাত পরিচয় দেখিয়ে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে আসেন৷ মাথা, হাত সহ দেহের একাধিক অংশে চোট ছিল৷ পরে তমলুক হাসপাতালে মৃত্যু হয় দেবাশিসের৷ পরে তাঁর পরিচয় উদ্ধার হয়৷ খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন দেবাশিসের পরিজনেরা৷ ঠিক কি কারণে দেবাশিসের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন পুলিশ কর্তারাও৷ তাঁদের প্রাথমিক বক্তব্য, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয়৷’’শুভঙ্করের কথা মতো দেবাশিসের কাছে গতকাল রাতে কার ফোন এসেছিল, তিনি কোথায় গিয়েছিলেন, কেন তাঁর ফোন সুইচড অফ হয়ে গেল, কে তাঁকে ভোর বেলা তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করল- তদন্তে এমন একাধিক প্রশ্নের সুদুত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা৷শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা কনিষ্ক পণ্ডা দাবি করেছেন, দেবাশিস সক্রিয়ভাবে ভারতীয় জনতা পাটির কর্মী ছিলেন। নিজের দাবির স্বপক্ষে তাঁর সঙ্গে পার্টি অফিসে দেবাশিসের বসে থাকার অতীতের ছবিও দেখান কনিষ্কবাবু৷ শাসকদলের তরফে এখনও অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ তবে নিহতের পরিজনদের দাবি, এটা অবশ্যই খুনের ঘটনা৷ প্রকৃত তদন্ত হলেই সঠিক ঘটনা সামনে আসবে৷যদিও তৃণমূলের রাজ্যস্তরের এক নেতার সংশয়, ‘‘অভিষেককে বিপদে ফেলতে এটা কাঁথির অধিকারী পরিবারের নয়া চাল নয় তো?’’ পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হবে৷

No comments