বিপুল সাফল্য নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। বড় সাফল্যের ক্ষেত্রেও কাঁটা হয়ে রয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র। কারণ ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী ছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নন্দীগ্রাম থেকে জিতেছেন বি…
বিপুল সাফল্য নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। বড় সাফল্যের ক্ষেত্রেও কাঁটা হয়ে রয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র। কারণ ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী ছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নন্দীগ্রাম থেকে জিতেছেন বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের ফলাফলের শুরু থেকেই ছিল বিতর্ক। অনেক নাটকের পরে শেষ মুহূর্তে জানা যায় নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে পরাস্ত হয়েছে মমতা। পরাজির প্রার্থীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে চলেছে বিজেপি। ফল ঘোষণার পরেই আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। সেই কথা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলা করলেন তিনি।
নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর জয়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ১৮ জুন শুক্রবার সকাল এগারোটায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে৷ যদিও শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীদের দাবি, এখনও এই মামলা সংক্রান্ত কোনও নথি তাঁরা হাতে পাননি৷ সূত্রের খবর, মমতার আবেদনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ করা হয়েছে৷সূত্রের খবর, ইলেকশন পিটিশন হিসেবে মামলাটি দায়ের করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ রাজ্যে এ বারের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে এটিই প্রথম মামলা বলে হাইকোর্ট সূত্রে খবর৷শেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রামের ফলাফল৷ কারণ সেখানে মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী৷ ভোটের ফল প্রকাশের দিন দেখা যায়, তুল্যমূল্য লড়াই হচ্ছে দু’ জনের মধ্যে৷ কখনও মমতা এগিয়ে যান, কখনও শুভেন্দু৷ গণনার শেষে দেখা যায়, ১৯০০-র কিছু বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী৷যদিও ফলপ্রকাশের পরই গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি পথে যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি৷ গণনার দিন থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সহ-সভাপতি আজগর আলী (পল্টু) নেতৃত্বে গণনা কেন্দ্রের সামনে চলেছিল অবস্থান-বিক্ষোভ। সেই সময়ে তৃণমূলের এক কর্মী সাবির আলিকে অবস্থান মঞ্চ থেকে তুলে নিয়ে এগিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। সাবির আলী এখন সুস্থ কিন্তু এই ঘটনা পুনর্গণনা যদি রায় আদালত দিয়ে থাকে তাহলে রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব কংগ্রেস সবথেকে আন্দোলনের শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে।তৃণমূলের তরফে পুনর্গণনার দাবিও জানানো হয়েছিল৷ যদিও সেই দাবি মানেনি নির্বাচন কমিশন৷ শেষ পর্যন্ত, আদালতেরই দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সূত্রের খবর, হাইকোর্টে দায়ের করা আবেদনে গণনায় কারচুপির একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে।
No comments