সমাজে যারা কর্মসূত্রে বা পাড়ায়-গ্রামে সামাজিকভাবে দিনের পর দিন মৃতদেহের সৎকার করে চলেছেন সমাজ তাদের কাছে চিরকালের ঋণী। বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে এই অতিমারিকালে মারন ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতদের অন্তিম ক্রিয়া নিয়ে বহু হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এ…
সমাজে যারা কর্মসূত্রে বা পাড়ায়-গ্রামে সামাজিকভাবে দিনের পর দিন মৃতদেহের সৎকার করে চলেছেন সমাজ তাদের কাছে চিরকালের ঋণী। বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে এই অতিমারিকালে মারন ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতদের অন্তিম ক্রিয়া নিয়ে বহু হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। স্বজন হারানো প্রিয়জনেরা শেষ দেখা থেকে অন্তিম কাজটুকুও করার সুযোগ পাননি। করোনা আক্রান্ত মৃতদের সৎকারের ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে প্রতিবেবেশীরাও অতি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শোকার্ত পরিবার বর্ননাতীত সমস্যায় পড়েন।
সমুদ্র শহর দীঘার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরনে এবং এই অতিমারি আবহে বিশেষ করে করোনায় মৃতদের পরিনতির কথা ভেবে দীঘা মোহনায় গত বছর প্রাঢ় প়াঁচ কোটি টাকা ব্যায় করে ইলেকট্রিক চুল্লি নির্মাণ করা হয়।
সেই থেকে সারা জেলায় সবথেকে বেশী করোনায় মৃত ব্যাক্তিদের দেহ দাহ করা হচ্ছে এই শ্মশানেই। আরো বিভিন্ন শ্মশানের মত এখানেও শ্মশানকর্মীরা নিষ্ঠাসহকারে সেই অপ্রিয় কাজটি করে চলেছেন দিনরাত এককরে। উল্লেখ্য , এখনো পর্যন্ত কয়মাসে প্রায় পাঁচশতাধিক মৃতদেহ দাহ হয়েছে এই শ্মশানে। যার সিংহভাগই হল মহামারির শিকার
কোলাঘাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা "সংকেত" আজ ১লা জুন দীঘা মোহনার শ্মশান কর্মীদের সমাজবন্ধু সম্মান জ্ঞাপন করল। চন্দের ফোটা, উত্তরিয়, ব্যাচ, ফুল, মিষ্টান্ন, স্মারক ও নতুন পোশাক দিয়ে তাদের সম্মান জানানো হয়।
এই সম্মানে আপ্লুত শ্মশানকর্মী পরিমল দে বলেন,- আমরাতো ভাবতেই পারছিনা, আমাদের এই কাজ করার জন্য কেউ আমাদের এভাবে সম্মান জানাবে। আমরা খুব খুশি। "
সংস্থার পক্ষে সভাপতি অভিজিত সামন্ত বলেন,- আমরা সারা বছর ধরেই সর্বতোভাবে মানুষের পাশেই থাকি বা আছি। আজকে শ্মশানকর্মীদের সম্মাননা জানিয়ে নিজেরাও তৃপ্তবোধ করছি।"
এইদিন কোলাঘাটের এই সংস্থার উদ্যোগে সমুদ্র উপকুলে ঘুর্ণঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় তিনশোটি পরিবারের হাতে নানা খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
No comments