যশ ও বুদ্ধ পূর্ণিমার জলোচ্ছ্বাসে সারা হলদিয়া জলমগ্ন। হলদিয়ার সুতাহাটার রাজ্য সড়কের উপর শ্রীকৃষ্ণপুর মোড়ের কাছে একটি বিশাল হোগলা বনে দীর্ঘ দিন ধরে কয়েকটি বাঘরোল বাস করতো। মাঝেমধ্যে বেরোলে এলাকার মানুষ ভয়ে আতঙ্কে থাকতো। কিন্তু গ…
যশ ও বুদ্ধ পূর্ণিমার জলোচ্ছ্বাসে সারা হলদিয়া জলমগ্ন। হলদিয়ার সুতাহাটার রাজ্য সড়কের উপর শ্রীকৃষ্ণপুর মোড়ের কাছে একটি বিশাল হোগলা বনে দীর্ঘ দিন ধরে কয়েকটি বাঘরোল বাস করতো। মাঝেমধ্যে বেরোলে এলাকার মানুষ ভয়ে আতঙ্কে থাকতো। কিন্তু গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় যশ ও বুদ্ধপূর্ণিমার কোটালের জলে প্লাবিত হয় সমগ্ৰ এলাকা। বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন কিন্তু এই ঝড়ে যারা কথা বলতে পারে না পশুপাখি তারা কোথায় যাবে ।তাদের বাসা ভেঙ্গে গেছে। ঝড়ের দাপটে বহু পাখি তার সন্তান সন্ততি মৃত্যুবরণ করেছে আর যারা বনে জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে থাকত সেই জঙ্গল ডুবে গেছে ঝড়ের দাপটে। এলোমেলো হয়েছে বহু কিছুই তারা কোথায় যাবে। মানুষ মানুষের জন্য মানুষ কি পশুদের জন্য হতে পারে না তার প্রমান দেখিয়ে দিল।কয়েকদিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে তারা লোকালয়ে চলে আসে।এবং রাজ্য সড়কে ধারে ঘোরাঘুরি করে বাঘরোলটি। সকালে ৪' ৩" একটি বাঘরোল হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়। এলাকার মানুষ দেখে চমকে উঠেছিল তারা সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেয় পরে হলদিয়া বালুঘাটা বন দপ্তরের আধিকারিকরা এসে উদ্ধার করে বাঘরোলটিকে।
No comments