শুক্রবার প্রবল জোয়ারের টানে কুকড়াহাটি জেটিতে কাছি ছিঁড়ে বিপদে পড়ল যাত্রীবোঝাই লঞ্চ। হুগলি নদীর ঘূর্ণিজলে বেসামাল লঞ্চ গিয়ে ধাক্কা মারল জেটির গ্যাংওয়ে ব্রিজে। লঞ্চের পিছনের অংশ মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে ঢুকে যায় গ্যাংওয়েতে। লঞ্চের ডে…
শুক্রবার প্রবল জোয়ারের টানে কুকড়াহাটি জেটিতে কাছি ছিঁড়ে বিপদে পড়ল যাত্রীবোঝাই লঞ্চ। হুগলি নদীর ঘূর্ণিজলে বেসামাল লঞ্চ গিয়ে ধাক্কা মারল জেটির গ্যাংওয়ে ব্রিজে। লঞ্চের পিছনের অংশ মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে ঢুকে যায় গ্যাংওয়েতে। লঞ্চের ডেকে দাঁড়িয়ে থাকা ৮-১০জন যাত্রী পড়প যান নদীতে। বেশ কয়েকটি বাইকও নদীতে তলিয়ে যায়। ওই সময় ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার জন্য নিত্যযাত্রীরা লঞ্চে উঠছিলেন বলে জানা গিয়েছে। লঞ্চ উল্টে যাওয়ার উপক্রম হলে আর্ত চিৎকার শুরু করেন যাত্রীরা। ডাঙায় থাকা মানুষজন ও স্থানীয় মাজিরা চিৎকার শুনে ছুটে এসে নদীতে পড়ে যাওয়া যাত্রীদের উদ্ধার করেন। অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে ওই লঞ্চ কুকড়াহাটি ও ডায়মন্ডহারবারের মধ্যে চলাচল করছিল। রীতিমত টিকিট কেটেই যাত্রী পারাপার করা হচ্ছিল। ওই লঞ্চ ডায়মন্ডহারবার পুরসভার অনুমোদনক্রমে চলাচল করে। জানা গিয়েছে, সরকারি কর্মীদের পারাপারের জন্য সার্ভিস কার ভেসেল হিসেবে চলাচল করছিল। কিন্তু ওই লঞ্চ চলাচলের অনুমতি নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ, কুকড়াহাটি জেটি হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালনাধীন। সংস্থার সিইও এবিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। সুতাহাটার বিডিও বা ওসির নজরেও বিষয়টি নেই। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কীভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের জেটিঘাট ব্যবহার হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘাটের জলসাথীরা কোথায় তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। প্রসঙ্গত, হলদিয়ার টাউনশিপ মহিষাদলের গেঁওখালিতে বেআইনিভাবে ২৫০-৩০০টাকা নিয়ে যাত্রী পারাপারের জন্য ভুটভুটি চালান হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিস প্রতিটি ঘটনা জানার পরও এড়িয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
No comments