প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এবার খুলে যাক,দুর্গারানী দে, শিক্ষারত্ন , পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষা দপ্তর।শিক্ষিকা নারান্দা নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয় , পোস্ট: নারান্দা, পাঁশকুড়া একচক্র, পূর্ব মেদিনীপুরসরকারি সাহায্য প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়…
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এবার খুলে যাক,দুর্গারানী দে, শিক্ষারত্ন , পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষা দপ্তর।শিক্ষিকা নারান্দা নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয় , পোস্ট: নারান্দা, পাঁশকুড়া একচক্র, পূর্ব মেদিনীপুরসরকারি সাহায্য প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ছাত্র ছাত্রীদের মফস্বলে এবং শহরাঞ্চলে বেশিরভাগই গরীব এবং অর্থনৈতিক অনগ্রসর শ্রেণীভূক্ত। গ্রামাঞ্চলে বেসরকারি বিদ্যালয় প্রায় নেই বললেই চলে, সেখানে ছাত্র-ছাত্রীরাও সকলেই বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। বিগত বছরের,16th March,2020 থেকে চলছে লকডাউন এবং বিদ্যালয় বন্ধ জনিত পরিস্থিতি। এই অবস্থার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যালয় শিক্ষা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের অধিকাংশ স্মার্টফোন নেই। যদিও কারো স্মার্টফোন থাকে, সেটিও হয়তো কাজ চলাকালীন পিতা নিজের কাছে নিয়ে যান। সন্ধ্যায় ঘরে ফিরলে সন্তানরা ফোন দেখার সুযোগ পায়। আবার লকডাউন চলে সেই সব ফোন রিচার্জ করতে পারেন না। এরকম অভিভাবকের সংখ্যা অধিকাংশ স্কুলে শতকরা 15 ভাগ। সরকার ঘোষিত স্কুলের মফস্বল এলাকায় শহরাঞ্চলে যেখানে চাষের জমি নেই সেখানে অভিভাবকরা লকডাউন চলাকালীন তীব্র খাদ্য সমস্যাতেও ভোগেন। দীর্ঘ সাড়ে 14 মাসের সময় কালে অনেকেই সরকারি রেশনের ওপর দিনযাপন করছেন। লকডাউনে কর্ম একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘকালীন অপুষ্টিতে ভুগছে বড়দের সঙ্গে শিশুরা ও।কিছু কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তারি মাঝে শিক্ষাব্যবস্থা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বজায় রাখার জন্য কিছু প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন বিভিন্নভাবে। অনলাইন অফলাইন এর বিভিন্ন মাধ্যমে।কিন্তু কোন কিছুই শ্রেণি শিখন এর বিকল্প নয়। চাই শিক্ষক শিশুর মুখোমুখি সান্নিধ্য। হোক না তা দূরত্ব বিধি মেনে। যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা এসে শুরু করুন প্লাস বিদ্যালয়। পরিচ্ছন্ন থাকুক শ্রেণীকক্ষগুলো। শ্রেণীকক্ষগুলো পরিচ্ছন্নতায় নিয়োগ থাকুক মিড ডে মিলের স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী কর্মীরা। কিছুটা সময় অন্তত শ্রেণিশিক্ষা লাভ করুক বিদ্যালয়ে এসে শিশুরা। কিন্তু এভাবে অনলাইনে কার্যকরী ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আর নয়। বিদ্যালয়ে আসুক শিশুরা। বাড়ি কি শিশুরা বিভিন্নভাবে বাইরে ঘোরাফেরা করছে। বাড়ির বিভিন্ন কাজের নিয়োজিত শিশুরা। দোকান বাজার করা থেকে গৃহস্থালি কাজ পর্যন্ত। তাই আর নয়। এবার বিদ্যালয়গুলো খুলে যাক প্রাথমিক শিশুদের জন্য। শিশুদের বাড়ির কাছাকাছি অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। সেখানে দূরত্ব বিধি মেনে পরিচ্ছন্ন পরিবেশের যারা ক্লাস করবে তা কোনরকম অস্বাস্থ্যকর হবে না। অভিভাবকদের চিন্তা, শিক্ষকদের চিন্তা দূরীভূত হোক। খুলুক বিদ্যালয়। শিক্ষক ছাত্র মানসিক স্বাস্থ্য ফিরে আসুক।।
No comments