গত শনিবার সকালে নিউ দিঘার একটি হোটেলের মধ্যে উদ্ধার হয়েছিল সেই হোটেলেরই মালিকের মৃতদেহ। সুব্রত সরকার (৬৬) নামের ওই হোটেল মালিকের বাড়ি হাওড়ার শিবপুরে হলেও দীর্ঘদিনই তিনি ওই হোটেলের একটি ঘরেই থাকতেন। ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকলেও…
গত শনিবার সকালে নিউ দিঘার একটি হোটেলের মধ্যে উদ্ধার হয়েছিল সেই হোটেলেরই মালিকের মৃতদেহ। সুব্রত সরকার (৬৬) নামের ওই হোটেল মালিকের বাড়ি হাওড়ার শিবপুরে হলেও দীর্ঘদিনই তিনি ওই হোটেলের একটি ঘরেই থাকতেন। ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকলেও মৃতদেহটি গলায় ফাঁস লাগানো, মুখে বালিশ চাপা এবং বিছানা লন্ডভন্ড অবস্থায় মিলেছিল। প্রথমে ঘটনাটি নিছকই আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হলেও খটকা লেগেছিল পুলিশের। মৃত দেহটিকে সে দিনই কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি সেদিন থেকেই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তেই পুলিশ জানতে পারে ওই ঘরের জানালা থেকেও ভেতরে ঢোকা সম্ভব। এরপরেই একাধিক লোককে জিজ্ঞাসা বাদের পর উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ নিশ্চিন্ত হয়, এটি নিছক আত্মহত্যার ঘটনা নয়। ওই হোটেল মালিককে আসলে খুন করা হয়েছে। এবং ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দেখানোর মরিয়া চেষ্টাও চালিয়েছে আততায়ীরা। তবে শেষ রক্ষা হল না। ওই হোটেল মালিককে খুনের ঘটনায় রামনগরের ঠিকরার তাবরা এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দিঘা থানার পুলিশ। জামিল শাহ (৪৭) নামের ধৃত ব্যক্তি পেশায় কাঠমিস্ত্রী। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। বুধবার ধৃতকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। বিচারক অভিযুক্তকে ১০ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন। তবে কি কারনে এই খুন, ঘটনায় আরও কোনও ব্যক্তি জড়িত রয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পরেই ওই ধৃত জামিল শাহর বাড়ি থেকে নগদ দুই লক্ষ্য টাকা সহ বেশকিছু গয়নাগাটি উদ্ধার করে পুলিশ। বেশকিছু দিন গা ঢাকা দিয়েছিল ওই অপরাধী তবে শেষ রক্ষা হয়নি, পুলিশের পাতা ফাঁদেই শেষমেষ পা দিতে হল খুনে অভিযুক্ত রামনগরের বাসিন্দা জামিল শাহকে ।
No comments