"মরুবিজয়ের কেতন উড়াও শুন্যে হে প্রবল প্রাণ----"সংশপ্তক হলদিয়া আর্ট এন্ড কালচারাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ৫ইজুন,২০২১বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করলো রবিঠাকুরের গান গাইতে গাইতে তবে কোভিড বিধিকে চূড়ান্তভাবে মেনেই।সংস্থার পক্ষ থেকে …
"মরুবিজয়ের কেতন উড়াও শুন্যে হে প্রবল প্রাণ----"সংশপ্তক হলদিয়া আর্ট এন্ড কালচারাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ৫ইজুন,২০২১বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করলো রবিঠাকুরের গান গাইতে গাইতে তবে কোভিড বিধিকে চূড়ান্তভাবে মেনেই।সংস্থার পক্ষ থেকে প্রচুর চারাগাছ (ঝাউ,আকাসমনি,শিশু,পলাশ, বকুল,জাম,সিরিস, নিম) লাগানো হয় হলদি নদীর তীরে "খোলা আকাশ" নামের হোম স্টের এলাকার মধ্যে।এই নাট্যদলের ছোটরাও এগিয়ে এল গাছ লাগানোর কাজে,গাছ না থাকলে তারাও যে ভবিষ্যতে সুস্থ ভাবে থাকতে পারবেনা ,সেটাও তারা জানালো।"ফি বছর ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছাস নদীর পাড় কে ক্ষয় করে চলেছে ,নদীর পাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে,"-একথা জানালেন সংস্থার কর্ণধার শ্রী কুনাল নন্দ।সংস্থার সদস্যরা জানালেন যে ,বসুধাকে বাঁচাতে ,এই বসুন্ধরা কে বাঁচাতে ,বাস্তুতন্ত্রের পুন:প্রতিষ্ঠা করতে তারা ৫ই জুন পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।বিজ্ঞান ও পরিবেশকর্মী রায়পদ কর বললেন যে,"সংশপ্তক নাটকের সংলাপের মতো গাছকেও সজীব সত্তা হিসেবে কল্পনা করে,গাছকে সহ-অভিনেতা মনে করেই অনেক আগে থেকেই গাছের পরিচর্যা করে এসেছে"।ভূগোলের শিক্ষিকা মনিকা কর পাইক জানালেন যে,"আজ এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচীতে উপস্থিত থেকে ছোটদেরও বোঝানো গেল গাছের উপকারিতা ও গাছ না থাকায় কি কি বিপদ হয়েছে ও ভবিষ্যতেও হতে পারে"।সংশপ্তক এর এক সদস্যা সোমা নন্দ জানালেন যে,"বায়োলজির স্টুডেন্ট হিসেবে মনে হয়েছে যে শুধু বইয়ের পাতায় নয় বরং এই উন্মুক্ত পরিবেশে কিছু গাছ যেমন নুতন করে বপন করা হল তেমনি পাশাপাশি থাকা আরো অনেক গাছ সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ব্যবহারিক পাঠও নিলাম আজকের এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে"।নদীতীরবর্তী খোলা আকাশ এর কর্ণধার শ্রী মানস বোস জানালেন যে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে,সে ক্ষেত্রে সংশপ্তক হলদিয়া যে উদ্যোগ নিল, তাতে কিছু গাছ বৃদ্ধি পেলে পরিবেশের পক্ষে যেমন ভালো ,তেমনি পরিবেশ নিয়ে এই ভাবনাও সাধুবাদ যোগ্য"।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন দপ্তরের বালুঘাটা বিট অফিসের নার্সারি থেকে বিভিন্ন ধরনের গাছ সরবরাহ করা হয়েছে সংশপ্তককে-একথা জানালেন নাট্যদলের আর এক কুশীলব বাপন দাস।সংশপ্তক এর কচি-কাঁচারাও ভবিষ্যতে এগিয়ে যাবে বনমহোৎসবে -এটাই তাদের আজকের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।গাছ শুধু প্রত্যক্ষ উপকারে লাগেনা বরং উদ্ভিদের সু-শীতল ছায়ায় থেকে মানুষ সহিষ্ণু হয়।গাছের সান্নিধ্য মানুষকে ঋজু ও দৃঢ়চেতা করে,গাছ নির্বাক থেকেই মানুষকে নিবিড়ভাবে আন্তরিক করে তোলে।সংশপ্তক এর সমস্ত সদস্যরা শপথ ও নিলেন এই বলে যে,"আমরা উদ্ভিদের প্রতি আন্তরিক হব ও গাছ কে সহ-নাগরিক হিসেবেই বিবেচনা করবো"। সংক্ষিপ্ত কিন্তু এই নান্দনিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুধু পরিবেশ দিবস উদযাপন নয় বরং পরিবেশ আন্দোলনকেও সমর্থন জানানো হল।আজকের এই অনুষ্ঠান থেকে মনে হল প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগে সুন্দরলাল বহুগুনা গাছ বাঁচানোর জন্য যে চিপকো আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিলেন ,সেই আন্দোলনের ঢেউ আজো মিলিয়ে যায়নি ,হিমালয় থেকে হলদি নদীর তিরেও এসে পৌঁছেছে।সংশপ্তক পরিবেশ ভাবনা কে এগিয়ে নিয়ে যাক "eco-friendly" কাজকর্মের মধ্য দিয়ে।
No comments