একুশে বিধানসভা নির্বাচন নির্বাচননে ভোটপর্ব মিটলেও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত অব্যাহত। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় মোদী-মমতার ‘সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতের’জেরে জল গড়িয়েছে অনেকদূর। প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি ও রিপোর্ট জমা…
একুশে বিধানসভা নির্বাচন নির্বাচননে ভোটপর্ব মিটলেও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত অব্যাহত। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় মোদী-মমতার ‘সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতের’জেরে জল গড়িয়েছে অনেকদূর। প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি ও রিপোর্ট জমা দিয়েই চলে আসা, সব পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে বঙ্গ বিজেপি । পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ এমন অভিযোগ বারবার তুলেছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এ বার ফের রাজ্য সরকারের ‘ব্যর্থতার’ খতিয়ান তুলে বিতর্ক উস্কে দিলেন রাজ্যের বিরোধী বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার, খেজুরি বিধানসভার উপকূলবর্তী বিধ্বস্ত এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বন্টন করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন, খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী ও সম্পাদক অসীম মিশ্র, সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দোলুই প্রমুখ। এদিন, দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়ার ফাঁকে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্য সরকার দুর্গতদের মুখে অন্ন তুলে দিতে ব্যর্থ। জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলবন্দি হয়ে রয়েছে মানুষ। ২৬ তারিখের পরেও জল নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা করেনি জেলা প্রশাসন। জলে পচন ধরে গন্ধ বের হতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এলেন, বললেন, পাম্প বসিয়ে জল বের করা হবে! কিন্তু কোথায় কী! মাননীয়াকে বুঝতে হবে এটা রাজনীতির সময় নয়। উনি সবেতেই রাজনীতি করেন। একজন নন এমএলএ মুখ্যমন্ত্রী,আমার কাছে হেরেছেন। তাই মুখোমুখি হতে চাইছেন না।” এখানেই থামেননি বিজেপি বিধায়ক, তিনি আরও বলেন, “আমফানের টাকা এখনও দেয়নি সরকার। আমরা বিরোধী দল আমাদের সীমিত ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করছি। মানুষের দুর্দশায় তাঁদের পাশে থেকে দুটো ভাত ডালের ব্যবস্থা করেছি। সরকারি ক্ষতিপূরণ ছাড়া এতগুলো বাড়িঘর মেরামত সম্ভব নয়। এই বাঁধ রাজ্য সরকার মেরামত করতে পারবেন না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি। হলদিয়া থেকে বারণসী জাতীয় জলপথের মতোই সুন্দরবন থেকে দিঘার বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব নিক কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ, রাজ্য সরকার কিছুই দেবে না। অন্তত, দশ-কুড়ি হাজার টাকা করে দিলেও কাজ শুরু করা যায়। আমাদের আশঙ্কা, আমফানের মতো ইয়াসের ক্ষতিপূরণের টাকাটাও জেলা প্রশাসন চুরি করবে।”
No comments