রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছিল নন্দীগ্রামের এক BJP সমর্থকের। তাঁর পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সেই প্রতিশ্রুতির কিছুটা পূরণ করলেন শুভেন্দু অধ…
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছিল নন্দীগ্রামের এক BJP সমর্থকের। তাঁর পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সেই প্রতিশ্রুতির কিছুটা পূরণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।একুশের নির্বাচনে সকলের ‘পাখির চোখ’ ছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দিকে। কারণ সেই বিধানসভা কেন্দ্রের একদিকে প্রার্থী হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে BJP প্রার্থী হয়েছিলেন একদা মমতার সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নেমেছিলেন CPM-র মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ২ মে ভোটের ফল প্রকাশিত হলে জয় পায় BJP। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে বিজয়ী হন BJP প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের ফলাফল ঘোষণা পরের দিন অর্থাৎ ৩ মে রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের চিল্লগ্রাম। তৃণমূল ও BJP সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হন BJP সমর্থক দেবব্রত মাইতি
দলের তরফে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কলকাতার বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু ১০ দিন সেখানে চিকিৎসাধীন থেকেও শেষরক্ষা হয়নি। গত ১৩ মে কলকাতার ওই নার্সিংহোমেই মৃত্যু হয় দেবব্রত মাইতির। এরপর স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দেবব্রতর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই আশ্বাসের কিছুটা এদিন পূরণ করলেন তিনি।
এদিন দেবব্রত মাইতির বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন শুভেন্দু। বিধায়কের হাত থেকে আর্থিক সাহায্য পেলেও মৃতের স্ত্রীর আবেদন, পরিবারের একজনের যাতে চাকরির ব্যবস্থা করা যায় সেদিকে যেন দেখা হয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন দেবব্রত। তাঁর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই অথৈ জলে পড়েছে গোটা পরিবার। দেবব্রত স্ত্রীর আবেদন অবশ্য উপেক্ষা করেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর সেই আবেদন রাখবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। তবে তার জন্য কিছুটা সময় চেয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, আমি এখন শাসকদলে নেই। তাই চাকরি দিতে আমার একটু সময় লাগবে। তবে আমি কথা দিলে কথা রাখি। পরিবারের সকল সদস্য যাতে ভালোভাবে থাকতে পারেন সেদিকে আমি সবসময় নজর রাখব।
No comments