এখনও এক মাস পূরণ হয়নি পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে।যার মধ্যে ৭০ টি বেড গর্ভবতী করোনা আক্রান্ত মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।কয়েক দিনের মধ্যেই রক্তের স্বাভাবিক স্থায়…
এখনও এক মাস পূরণ হয়নি পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে।যার মধ্যে ৭০ টি বেড গর্ভবতী করোনা আক্রান্ত মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।কয়েক দিনের মধ্যেই রক্তের স্বাভাবিক স্থায়িত্ব থেকে অনেকটাই পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক।কারন করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলা এবং থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্ত দেওয়ার ফলে অনেকটাই কমতে শুরু করেছে মজুত থাকা রক্তের পরিমান।অপরদিকে করোনা কালে সেরকম কোনও সংস্থাকেও রক্ত দানের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতেও দেখা যায়নি।এই অবস্থায় হাসপাতালের রক্ত সঙ্কট মেটাতে এবং করোণা আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলাদের সুস্থ করে তুলতে কোভিড প্রোটোকল মেনে রক্তদানের কাতর আবেদন হাসপাতাল সুপারের।সুপারের কাতর আবেদনে সাড়াও দিতে দেখা গেল পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামের বেশকিছু মানুষকেও।সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পাশেই অবস্থিত কলেশ্বর গ্রাম সেখানে বেশ কিছু গ্রামবাসী মিলিত হয়ে গর্ভবতী এবং থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্তের চাহিদা মেটাতে প্রায় পঞ্চাশ জন রক্তদান করেন।করোনা মহামারি দুর্যোগে গর্ভবতী মহিলা সহ হাসপাতালের পাশে থাকতে পেরে বেজায় খুশি কলেশ্বর গ্রামবাসী।পাশাপাশি তাদের মত আরো মানুষজনকে হসপিটালের পাশে থাকার আবেদনও জানিয়েছেন গ্রামের মানুষজন।কিন্তু প্রশ্ন যেখানে প্রত্যহ ছাব্বিশ থেকে ত্রিশ প্যাকেট রক্তের প্রয়োজন সেখানেই রক্তের চাহিদা মিটবে কিভাবে ? তবে কলেশ্বর গ্রামবাসীর মতো আরও বহু গ্রামের মানুষকে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলা তৎসহ এই হাসপাতালের পাশে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
No comments