আইন ব্যবস্থা ভাঙলে ফলাফল খারাপ, মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্যুইট রাজ্যপালের, ঘটনার সূত্রপাত নারদ কান্ডের গ্রেপ্তারি, আর তাতেই উত্তপ্ত রাজ্য। সোমবার সকালেই তাঁর চেতলার বাড়ি থেকে ‘গ্রেপ্তার’ রাজ্যের নতুন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ…
আইন ব্যবস্থা ভাঙলে ফলাফল খারাপ, মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্যুইট রাজ্যপালের, ঘটনার সূত্রপাত নারদ কান্ডের গ্রেপ্তারি, আর তাতেই উত্তপ্ত রাজ্য। সোমবার সকালেই তাঁর চেতলার বাড়ি থেকে ‘গ্রেপ্তার’ রাজ্যের নতুন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম , নিজাম প্যালেসে নিয়ে যান সিবিআই (CBI) কর্তারা। অনুমতি ছাড়াই এই গ্রেফতার হয়েছে বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। সংবাদমাধ্যমকে মন্ত্রী বলেন, ‘নারদ মামলায় আমায় গ্রেফতার করা হল।
এদিকে সোমবার সকালেই মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ে যাওয়া হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। নিজাম প্যালেসেই তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় অ্যারেস্ট মেমো। আজই আদালতে তোলা হবে ৪ জনকেই। সূত্রের খবর, চার্জশিটের বয়ান ঠিক করে নয়াদিল্লিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে গ্রিন সিগন্যাল আসার পরেই সাতসকালে তড়িঘড়ি গেপ্তার করা হয়েছে। তার পর থেকেই কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা তৃণমূল। দিকে দিকে শুরু হয়েছে তীব্র বিক্ষোভ।
গ্রেপ্তারির জেরে অশান্তির আশঙ্কায় আগেই গোটা নিজাম প্যালেসের দখল নিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর বেলা গড়াতেই দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সিবিআই দপ্তর। আর এবার ক্ষোভের মধ্যেই ধস্তাধস্তি শুরু হল কেন্দ্রীয় বাহিনী ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। বিক্ষোভকারীরা ইটি বৃষ্টি শুরু করলেন বাহিনীকে লক্ষ্য করে। তাতে আরও উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। শেষে ধৃতদের আদালতে পেশ করার বদলে ভার্চুয়ালি শুনানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অশান্তির আশঙ্কায় রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হলেও ভিড় জমাতে থাকেন সমর্থকেরা।
সবমিলিয়ে লকডাউনের মধ্যেও পরিস্থিতি ভয়াবহ রাজ্যের। এই অবস্থায় সাংবিধানিক রীতি মেনে চলা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আর্জি জানিয়ে একের পর এক ট্যুইট করে চলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পরপর ৩টি ট্যুইট করেছেন তিনি, দ্বিতীয় ট্যুইটে লিখেছেন সম্পূর্ণ অরাজকতা ও নৈরাজ্য। পুলিশ-প্রশাসন চুপ। আশা করি এই অরাজকতা ও সাংবিধানিক কাঠামোর ব্যর্থতার কী প্রভাব হতে পারে, আপনি উপলব্ধি করতে পারছেন। প্রতি মিনিটে পরিস্থিতি বিস্ফোরক হয়ে উঠছে। এখন সময় হয়েছে এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা।আইন ব্যবস্থা ভাঙলে ফলাফল ভেবে রাখুন, তার পরই তৃতীয় ট্যুইটে লিখেছেন সংবাদমাধ্যম ও পাবলিক ডোমেনে দেখতে পেলাম, সিবিআই দফতরে ইট ছোড়াছুড়ি হচ্ছে। করুণা হচ্ছে এটা দেখে যে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায়। আইনশৃঙ্খলা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে আপনাকে অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারিতে বিধানসভার স্পিকারের কাছে কনো অনুমতি নেয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল, রাজ্যপালের অনুমতিতেই এই কাজ করা হয়েছে বলে জানান CBI কর্তারা।
No comments