বৈশাখের আনন্দ কলতানে তোমাকে নিবিড় করে পাই না সেভাবেযেভাবে পাই, বেদনের ঘনঘোর বর্ষার নিভে আসা আলোয়মার মালা দোলানো ছবির সামনে দাঁড়ালে...দুরন্ত কর্কট তখন মহানন্দে তার আগ্রাসী শিকড় চারিয়েছেমার বুক থেকে মস্তিষ্কের স্নায়ুতে স্নায়ুতে...হ…
বৈশাখের আনন্দ কলতানে তোমাকে নিবিড় করে পাই না সেভাবে
যেভাবে পাই, বেদনের ঘনঘোর বর্ষার নিভে আসা আলোয়
মার মালা দোলানো ছবির সামনে দাঁড়ালে...
দুরন্ত কর্কট তখন মহানন্দে তার আগ্রাসী শিকড় চারিয়েছে
মার বুক থেকে মস্তিষ্কের স্নায়ুতে স্নায়ুতে...
হাসপাতালে যাওয়ার আগে শেষবার তোমার ছবির সামনে বসে
আমার উদভ্রান্ত মা নীচু গলায় গেয়ে উঠলেন,
“ আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহ দহন লাগে..."
অক্ষর শ্রাবণ ঝরে পড়ছে এক আশ্চর্য নরম আকুলতায়
ভিজে যাচ্ছে তাপদগ্ধ ঘরের প্রতিটি পুড়ে যাওয়া কোণা।
মার বিষণ্ন মুখে যন্ত্রণাভাঙা মগ্নমেদুর আলো,
প্রশান্তির, পূর্ণতার, সুন্দরের...
সেই থেকে তুমি শুধু কবিমাত্র নও আর জানি
ঠাকুর, জীবনের, আনন্দের, অনন্তের...
No comments