অমানবিকতার স্বাক্ষী থাকলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মায়ের মৃতদেহ সৎকারে কাউকে পাশে না পেয়ে ,সেই দেহ প্রায় ১১ ঘন্টা আগলে রেখে পাশে বসে থাকলো শুধু মেয়ে !পরিবারে অন্যান্য সদস্য কিংবা গ্রামবাসী কেউ এগিয়…
অমানবিকতার স্বাক্ষী থাকলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মায়ের মৃতদেহ সৎকারে কাউকে পাশে না পেয়ে ,সেই দেহ প্রায় ১১ ঘন্টা আগলে রেখে পাশে বসে থাকলো শুধু মেয়ে !পরিবারে অন্যান্য সদস্য কিংবা গ্রামবাসী কেউ এগিয়ে এলোনা সৎকারে।এমন কি স্থানীয় স্তরের প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরাও কণিকা জানা নামের এই মহিলার মৃতদেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে দিনকয়েক ধরে করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে চিকিৎস্যাধীন এক মহিলার বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয়। সেই রাত থেকেই বাড়িতে পড়ে দেহ। এই অবস্থায় সকলে মুখ ফেরাও মৃত মায়েত দেহকে আগলেলে রাত থেকে বসে আছে মেয়ে। শেষকৃত্যতে ভয় গ্রামবাসীদের।অভিযোগ রাত থেকে পরিবার ও গ্রামবাসীরা প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও দেখা মেলেনি কারও। নন্দীগ্রাম থানার টেঙ্গুয়ার ঘটনা। জানা গেছে টেঙ্গুয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা কণিকা জানা (৫১) গত কয়েকদিন ধরে করোনা উপসর্গ (জ্বর) নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসারত ছিলেন।গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর থেকে করোনা উপসর্গ থাকায় তার বাড়িতেই পড়ে দেহ। নন্দীগ্রাম থানা সহ ব্লক প্রশাসন কে বারবার জানিয়েও দুপুর পর্যন্ত কারো দেখা মেলেনি। আতঙ্কের পরিবেশ এলাকায়।খবর পান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাঝি।তাঁর নির্দেশেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।প্রায় ১১ ঘন্টা পরে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন মৃতদেহটি উদ্ধার করে করোনা বিধি মেনে সৎকারের ব্যাবস্থা করে ।সেই সাথে মৃতার বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়। তবে এই ঘটনায় এলাকায় সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়েছে।সেই সাথে প্রশাসনের এমন উদাসীন আচরনের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।
No comments