বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে হলদিয়া এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অধীনস্থ অধিকাংশ এলাকাতেই অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা বিজেপির হয়ে অন্তর্ঘাত করেছে। খাতায়-কলমে দিব্যেন্দু অধিকারি তমলুকের তৃণমূল …
বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে হলদিয়া এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অধীনস্থ অধিকাংশ এলাকাতেই অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা বিজেপির হয়ে অন্তর্ঘাত করেছে। খাতায়-কলমে দিব্যেন্দু অধিকারি তমলুকের তৃণমূল সাংসদ হলেও গত ডিসেম্বর মাস থেকেই কার্যত তৃণমূলের যাবতীয় দলীয় অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন তিনি। এমনকি হলদিয়া নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন দিব্যেন্দু।তার দল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নন্দীগ্রাম বিধানসভার প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও একদিনের জন্যেও দিব্যেন্দু প্রচারে যাওয়া তো দূরের কথা মমতার মঞ্চে হাজির হননি।এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব চাইছে অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী কে দল থেকে বহিষ্কার করেন উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য। কিন্তু দেশের সংসদীয় আইন অনুযায়ী তৃণমূল যদি এখন দিব্যেন্দু অধিকারি এবং শিশির অধিকারী কে দল থেকে বহিষ্কার করে, তার পরেও তারা সাংসদ হিসেবে থেকে যাবেন। অথচ সংসদের খাতায় তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা কমে যাবে।এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এমন কোন সংসদীয় পন্থার কথা ভাবা হচ্ছে, যার ফলে সাপও মরবে লাঠিও ভাঙবে না।
No comments