করোনায় মৃত দেহ শেষকৃত করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে মৃত পরিবারের লোকেদের।দীর্ঘ পাঁচ দিন ধরে বন্ধ তমলুক টাউনে অবস্থিত ইলেকট্রিক চুল্লী।করোনা সংক্রমণের ফলে একাধিক মানুষের মৃতদেহ শেষকৃতের জন্য জেলায় মোট দুটি ইলেকট্রিক চুল্লী ব…
করোনায় মৃত দেহ শেষকৃত করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে মৃত পরিবারের লোকেদের।দীর্ঘ পাঁচ দিন ধরে বন্ধ তমলুক টাউনে অবস্থিত ইলেকট্রিক চুল্লী।করোনা সংক্রমণের ফলে একাধিক মানুষের মৃতদেহ শেষকৃতের জন্য জেলায় মোট দুটি ইলেকট্রিক চুল্লী বসানো হয়।একটি কাঁথি এবং অপরটি তমলুকে।জেলা সদর হাসপাতাল তমলুকে অবস্থিত হওয়ায় অধিকাংশ মৃতদেহর শেষকৃত্য করা হতো তমলুক টাউনের শ্মশানে অবস্থিত এই ইলেকট্রিক চুল্লী টিতে।কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ দিন ধরে বন্ধ থাকায় ব্যাপকভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে মৃত পরিবারের লোকেদের চুল্লি বিকল হয়ে গেলে ব্যতিক্রম হিসেবে কাঠ দিয়ে পোড়ানোর ব্যবস্থাও রয়েছে তমলুক টাউনের এই শ্মশানে।কিন্তু মৃত পরিবারের লোকজনের অভিযোগ-"কাঠ দিয়ে পড়ানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন শ্মশানে কর্মরত কর্মীরা।দাবি মতো টাকা না দিলে মৃতদেহ শেষকৃতের ক্ষেত্রে বাধারও সৃষ্টি করে শ্মশান কর্মীরা।ফলে তমলুক সহ জেলার একাধিক প্রান্তের মৃত পরিবারের লোকেরা করোনায় মৃত সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তিদের শেষকৃত্য করার ক্ষেত্রে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন।ইলেকট্রিক চুল্লি থাকলে অতিরিক্ত টাকা এবং অতিরিক্ত সময় ব্যয় না করেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।এবং শ্মশান কর্মীদের অতিরিক্ত টাকার চাপ থেকেও বেশ কিছুটা মুক্তিও পাওয়া যায়।" অতিরিক্ত টাকা দাবির ক্ষেত্রে শ্মশান কর্মীদের বক্তব্য-"তাঁরা কাঠ দিয়ে পোড়ানোর ক্ষেত্রে কোনোরকম অতিরিক্ত টাকার দাবি করেন না।যারা ইলেকট্রিক চুল্লিতে কর্মরত তাঁরা অতিরিক্ত টাকার দাবি করেন আমরা নয়"।অপরদিকে ইলেকট্রিক চুল্লিতে কর্মরত কর্মীরা বলেন-" বেশ কিছুদিন ধরেই ইলেকট্রিক চুল্লি বন্ধ রয়েছে ঠিকই কিন্তু তাঁরা কোনোরকমভাবে অতিরিক্ত টাকা নেয় না।পৌরসভা থেকে নির্ধারিত মূল্যেই মৃতদেহ শেষকৃত্য করেন তারা"।সবমিলিয়ে তমলুক শ্মশানে শ্মশান কর্মীদের অতিরিক্ত টাকার চাপ এবং ইলেকট্রিক চুল্লি বন্ধ থাকায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন করোনা সহ অনান্য রোগে মৃত পরিবারের লোকজনেরা সুষ্ঠু সমাধানের দাবি সহ ইলেকট্রিক চুল্লি দ্রুত সরানোর দাবিও তুলেছেন তারা।এবিষয়ে তমলুক পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানান-" দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের জন্য তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন"।
No comments