বাঙালির ঘরে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা। কন্যা দায় নিয়ে মাথা ঘামাতে তিনি রাজি নন কোনদিনই। একের পর এক মেয়ে বিয়ে দিয়েছে আর আয়োজনে কখনো কোন ফাঁক রাখেন নি।বর্তমান করোনা র মহামারীর কথা মাথায় রেখে সমস্ত সুরক্ষা বিধি মেনে ভগবানপুর 2 নম…
বাঙালির ঘরে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা। কন্যা দায় নিয়ে মাথা ঘামাতে তিনি রাজি নন কোনদিনই। একের পর এক মেয়ে বিয়ে দিয়েছে আর আয়োজনে কখনো কোন ফাঁক রাখেন নি।
বর্তমান করোনা র মহামারীর কথা মাথায় রেখে সমস্ত সুরক্ষা বিধি মেনে ভগবানপুর 2 নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাউসি অন্ত্যদয় অনাথ আশ্রমের আবাসিক শম্পা বর কনের সাজে সেজে নতুন জীবনের পথে পা রাখল। মাত্র দেড় বছর বয়সে আশ্রম এ তার পা রাখা। পিতৃহীন শম্পা দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আশ্রমের মধ্যে বড় হয়ে ওঠা , এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তারপর আশ্রমের অনেক কাজের মধ্যে নিজেকে নিয়োগ করে থাকে। কাছাকাছি হরিনাদলবাড় গ্রামের ছেলে প্রসেনজিৎ বেজের সঙ্গে তার বিবাহ আজ ২৩ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার। করোনা র প্রভাবে আমরা কোন শুভানুধ্যায়ীকে আমন্ত্রণ জানাতে পারিনি, কিন্তু অনেক শুভানুধ্যায়ী জানতে পেরে তাদের সাধ্যমতো আমাদেরকে দুই হাত বাড়িয়ে সাহায্য করেছে ন। করোনার জন্য কোন শুভানুধ্যায়ীকে আশ্রমের প্রাঙ্গণে আমন্ত্রণ জানাতে পারেনি।তাই সবার কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। একটি মেয়েকে বিয়ে দিতে হলে যা যা দান সামগ্রী লাগে যেমন খাটপালঙ্ক, আলমারি, ড্রেসিং আয়না, সোনা দানা দিয়ে মেয়েকে সাজানো ও পাত্রকে সাজানো সমস্ত প্রকার দান সামগ্রী দিয়ে তাকে আজ পাত্রস্থ করা হলো। কোনরকম কার্পণ্য করা হয় নি। এই মহামারীর জন্য আমরা অনুষ্ঠানটি খুব সীমিত ভাবে সাজিয়েছি। আশ্রম প্রাঙ্গণে গায়ে হলুদ এবং মেহেন্দির অনুষ্ঠানটা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানটি দুটি গ্রামের পর সরপাই গ্রামের সর্বমঙ্গলা মন্দির এ অনুষ্ঠিত করি। আশ্রম এর কর্ণধার দুহাত তুলে পাত্র-পাত্রীকে আশীর্বাদ করে তিনি বলেন বিয়ে হলেই যে সব সম্পর্ক চুকে যাবে এমন কিন্তু নয়। মেয়েরা যেমন বাপের বাড়ি আসে তেমনি আসবে। জামাইষষ্ঠী, ভাই ফোটার মত সব অনুষ্ঠান পালন করবেন তিনি।
No comments