সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১২৮ তম প্রয়াণ দিবসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দেশপ্রাণ ব্লকের দুরমুঠ গ্রামের তেলিপোতা মোড়ে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান হয়।
সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাথে অবিভক্ত কাঁথি মহকুমার আত্ম…
সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১২৮ তম প্রয়াণ দিবসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দেশপ্রাণ ব্লকের দুরমুঠ গ্রামের তেলিপোতা মোড়ে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান হয়।
সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাথে অবিভক্ত কাঁথি মহকুমার আত্মিক সম্পর্ক ছিল ।এগরার নেগুয়াতে ১৮৬০ সালে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হিসাবে কমর্রত ছিলেন ।
তাঁর কালজয়ী ১৫ টি উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম “কপালকুণ্ডলা”টি দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুর কপালকুণ্ডলা মন্দিরের স্মৃতি বিজড়িত ।
দারিয়াপুরে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত পাঠাগার আজও সরকারী অনুমোদন না পাওয়ায় এলাকাবাসী র মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে বলে জানান প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন । মামুদ হোসেন পাঠাগারের অনুমোদনের দাবী জানিয়েছেন।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (২৬ জুন ১৮৩৮ – ৮ এপ্রিল ১৮৯৪) ছিলেন উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক ছিলেন । বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তার অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন । তাকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে গণ্য করা হয় ।
তবে গীতার ব্যাখ্যাদাতা হিসাবে, সাহিত্য সমালোচক হিসাবেও তিনি বিশেষ খ্যাতিমান । তিনি জীবিকা সূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন । তিনি বাংলা ভাষার আদি সাহিত্য পত্র বঙ্গদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন । তিনি ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন । তাকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয় । এছাড়াও তিনি বাংলা সাহিত্যের সাহিত্য সম্রাট হিসেবে পরিচিত ।
No comments