Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

৪০ ঘন্টা করোণায় আক্রান্ত মৃতদেহ পড়ে রইল হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে

করোণায়  মৃতদের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিশেষ শববাহী গাড়ি। অভিযোগ হলদিয়া শিল্প শহর করোনায় মৃত দুই ব্যক্তির সৎকারের নিয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজন চূড়ান্ত নাজেহাল হন ।মহাকুমার হাসপাতাল মর্গে চল্লিশ ঘণ্টার বেশি দেহ পড়ে থাকায় প্রশা…

 




করোণায়  মৃতদের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিশেষ শববাহী গাড়ি। অভিযোগ হলদিয়া শিল্প শহর করোনায় মৃত দুই ব্যক্তির সৎকারের নিয়ে তাদের আত্মীয়-স্বজন চূড়ান্ত নাজেহাল হন ।মহাকুমার হাসপাতাল মর্গে চল্লিশ ঘণ্টার বেশি দেহ পড়ে থাকায় প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগ ওঠে ।কারা কিভাবে কোথায় দেহ সৎকার করবে তা নিয়ে চাপানউতোর চলে পরিবারের লোকজনের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসতেই শেষমেষ নড়েচড়ে বসল পৌর কর্তৃপক্ষ ও মহাকুমার প্রশাসন । করোনায় মৃত্যু হয় দুর্গা চক এক জুয়েলারি ব্যবসায়ীর। সুতাহাটা এক শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শিল্প শহরের মধ্যে কোথায় কিভাবে কারা তাদের দেহ সৎকার করবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন মহকুমার প্রশাসন ও পৌর প্রশাসন। হাসপাতালে রেখে দেওয়া হয় দুটি দেহ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গত বছর শিল্প শহরের পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে হুগলি নদীর পাশে পাতিখালী এলাকায় সৎকারের ব্যবস্থা করতো। এবছর সেভাবে কাজ না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। করোণার মৃতদেহ সৎকার করতে গেলেই ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। শিক্ষক ও ব্যবসায়ী করোনায় মৃত্যুর পর তাদের সৎকার নিয়ে রীতিমতো ধন্দে পড়ে পৌর প্রশাসন। প্রথমে ঠিক হয় পৌর কর্তৃপক্ষ দেহ দুটি হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়ে সৎকারের ব্যবস্থা করবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ পৌরসভার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করায় বিপত্তি তৈরি হয় । মৃতদের পরিবারের অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের তৎপরতার অভাবেই মৃতদেহ নিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের ভুগতে হচ্ছে ।করোণায় মৃতদের পরিবার জন্য আরও সংবেদনশীলতার  হওয়া দরকার সকলেরই। শেষমেষ এদিন  প্রায় ৪০ঘন্টাপর   করোনায় মৃত শিক্ষকের দেহ স্কুলের শিক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে দুর্গাচক ব্যবসায়ীর দেহ বুধবার সৎকারের ব্যবস্থা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। পৌরসভা এক্সিকিউটিভ অফিসার রবীন্দ্রনাথ জানা বললেন পৌরসভার সহযোগিতায় হুগলি নদীর পাড়ে পৌরসভার শ্মশানে মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা হচ্ছে।এনিয়ে পৌরসভার কোন অভিজ্ঞতা ছিলনা বলেই এই সমস্যা।সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির( নির্বাচনী প্রশাসক)সহ-সভাপতি তাপস কুমার মাইতিখুব করে বলেন দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা পরে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দিলো কেন? প্রশাসন তার পরিবারের সুরক্ষা কি থাকল। যদি পা তুলে দিলো তাহলে আগেই তুলে দিল না কেন। এই নিয়ে হলদিয়া এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

পৌর এলাকায় করণায় আক্রান্ত হলে পৌরসভার নিজস্ব হেল্পলাইনে ফোন করুন। করোনা আক্রান্তদের জন্য পৌরসভার কন্ট্রোলরুম চালু করছে। এর হেল্পলাইন নম্বর (৭২৭৮৬০২৪১১)7278 602 411/ (৯৭৩৪৪৬৯৭৬৭) 9734 469 767  এবং টেলিমেডিসিন পরি সেবা নম্বর 863 730 9092 অথবা 947 499266o হলদিয়া পৌরসভা করোনা আক্রান্তদের জন্য ৬টি এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছে। রোগীদের ভাড়া দিতে হবে এজন্য সেই ভাড়া নির্দিষ্ট করে দিয়েছে পৌরসভা।




No comments