কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। আর সেই মৃতদেহগুলিকে দাহ করার মতো জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে যে সমস্ত এলাকায় শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে সেগুলির কি অবস্থা তা খতিয়ে দেখেন প্রশান ও তমলুক পুরসভার প্রতি…
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। আর সেই মৃতদেহগুলিকে দাহ করার মতো জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে যে সমস্ত এলাকায় শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে সেগুলির কি অবস্থা তা খতিয়ে দেখেন প্রশান ও তমলুক পুরসভার প্রতিনিধিরা। তমলুক শহরে রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি। সেখানে দাহ করার ব্যবস্থা থাকলেও বিভিন্ন সময় যান্ত্রিক ত্রুটি বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে সমস্যায় পড়তে হয়।
পাশাপাশি দাহ করার ভালো পরিবেশ থাকলেও সেখানে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। সেখানে যাতে আরও একটি চুল্লি বসিয়ে এলাকার মানুষকে পরিষেবা দেওয়া যায় তার জন্য এই পরিদর্শন বলে জানা গিয়েছে।এদিন তমলুক শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি সংস্কার ও ইউনিট বাড়ানোর ব্যাপার সরজমিনে দেখতে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদল। এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন তাম্রলিপ্ত পৌরসভার পৌর মুখ্য প্রশাসক দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় সহ পৌরসভার বর্তমান বোর্ডের বেশ কয়েকজন সদস্য।
কলকাতার বিশেষজ্ঞ দলের ইঞ্জিনিয়াররা শ্মশানঘাট ঘুরে দেখেন এবং এখানে থাকা বৈদ্যুতিক চুল্লির বিভিন্ন জিনিস পরীক্ষা করেন। বর্তমানের শ্মশানে একটি মাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লি আছে আর সেটি মাঝে মাঝে খারাপ হয়ে গিয়ে সমস্যায় ফেলে এলাকার মানুষকে। তাই আরেক টি দ্বিতীয় চুল্লীর কথা বিবেচনা করেই আজকের এই পরিদর্শন বলে জানান তমলুক পুরসভার প্রশাসক দীপেন্দ্রনারায়ন রায়। বর্তমান সময়ে দাহ করার জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। তাদের কথা ভেবেই তমলুক পুরসভা বিদ্যুতিক চুল্লিতে দাহ করার ব্যবস্থা করেছে। দাহ করতে হলে দুটি নম্বর দেওয়া হয়েছে, গনেশ দাস- ৮৬৭০৭৭৬১৩৮ ও দীনেশ দাস- ৮০০১২৫৭৩৪২ এই দুটি নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।সকাল ৬ টা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু হলে স্থানীয় মানুষ অনেকেই উপকৃত হবেন। সেই সাথে জেলা হাসপাতাল দূরদূরান্তের মৃতদেহ দাহ করার ক্ষেত্রে সুবিধে হবে অনেকটাই।।
No comments