Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ভারতীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি মহোৎসব -২০২১ এর সফল পরিসমাপ্তি

রাজকোট, গুজরাট: ২৮শে ফেব্রুয়ারী, ২০২০:
ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের ‘বিজ্ঞান প্রসার’ নামক স্বশাসিত সংস্থার অনুমোদন প্রাপ্ত  ‘বিপনেট’ বিজ্ঞানসংস্থা  “ন্যাশান্যাল কাউন্সিল অব টিচার সায়েন্টিস্ট, ইন্ডিয়া”, “রমন সায়েন্স অ্…

 






রাজকোট, গুজরাট: ২৮শে ফেব্রুয়ারী, ২০২০:
ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের ‘বিজ্ঞান প্রসার’ নামক স্বশাসিত সংস্থার অনুমোদন প্রাপ্ত  ‘বিপনেট’ বিজ্ঞানসংস্থা  “ন্যাশান্যাল কাউন্সিল অব টিচার সায়েন্টিস্ট, ইন্ডিয়া”, “রমন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজী ফাউন্ডেশন, গুজরাট” এবং “এ. পি. জে. আব্দুল কালাম ন্যাশান্যাল কাউন্সিল অব ইয়ং সায়েন্টিস্ট, ইন্ডিয়া” – এর যৌথ উদ্যোগে এ বছর এক জাতীয় মেগা বিজ্ঞান উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্বস্তরের এই ভার্চুয়াল বিজ্ঞান উৎসবে স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকমন্ডলী ও পদাধিকারীগণের সম্মিলিত প্রয়াসে এরকম এক বিরাট আয়োজন আজ সফলভাবে সম্পন্ন হল। বিজ্ঞান সঞ্চারকগণের অদম্য মনোবল, স্বপ্ন পূরণের দুর্দমনীয় চেষ্টা, অক্লান্ত কর্মপ্রয়াস, সম্পূর্ণ সমর্পণ ও সর্বদা সহযোগিতা করার সর্বগ্রাসী প্রয়াসের ফলে এই ঐতিহাসিক কার্যক্রম দারুনভাবে সফল হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান সচেতনতা আনা তথা তাদের মনে বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহ বৃদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিজ্ঞান মহাকুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল।  রমন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজী ফাউন্ডেশন অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের বিজ্ঞান সচেতনতার কাজ জাতীয় পর্যায়ে অক্লান্তভাবে করে আসছে।
ন্যাশান্যাল কাউন্সিল অব টিচার সায়েন্টিস্ট, ইন্ডিয়া -এর ঠিক একই উদ্দেশ্য নিয়ে করা আর এক কার্যক্রম ‘দ্য ইন্ডিয়ান টিচার সায়েন্টিস্ট ইনোভেশান অ্যাওয়ার্ড ফেস্টিভ্যাল - 2020” ও আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের পূন্য তিথিতে সুসম্পন্ন হল। আজকের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উদযাপনের পাশাপাশি উল্লিখিত দুটি অনুষ্ঠানের সফল স্বর্ণপদক প্রাপকদের সম্মানিতও করা হল।
ইং ১২ই জানুয়ারী, ২০২১ খ্রিঃ জাতীয় যুব দিবসের মহান দিনে “ইন্ডিয়ান সায়েন্স টেকনো ফেস্টিভ্যাল – ২০২১” বা “ভারতীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তি মহোৎসব -২০২১” -এ নাম পঞ্জিকরণের সূচনা হয় । দেড় মাস ধরে চলা এই উৎসবে সারা দেশ থেকে ২৫০০ এরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বিভিন্ন বিভাগে অংশগ্রহনের জন্য বিনামূল্যে পঞ্জিকরণ করান। এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনটি এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের জন্য দুইটি  প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রতিযোগিতাগুলি হল – (১) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ভাষণ, বিজ্ঞান ও (২) প্রযুক্তি বিষয়ক মডেল নির্ম্মান এবং এই বিষয়ক (৩) বিজ্ঞান বিষয়ক ক্যুইজ প্রতিযোগিতা। উক্ত তিনটি প্রতিযোগিতাতেই তাদের দুইটি করে গ্রুপ রাখা হয়। সায়েন্স ক্যুইজ প্রতিযোগিতাটি তিনটি পর্যায়ে আয়োজিত হয়। এর প্রথম স্ক্লিনিং, দ্বিতীয় পর্যায়ে সেমি-ফাইন্যাল ও শেষে ‘জুম’ -এ লাইভ ক্যুইজের চমকপ্রদ আয়োজন হয়। অন্যদিকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য রাখা দুটি প্রতিযোগিতা হল – (১) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা বিষয়ক গবেষণা পত্র প্রদর্শন ও (২) এই একই বিষয়ে শিখন সামগ্রী প্রস্তুতিকরণ। জম্মু কাশ্মীর থেকে  কন্যাকুমারী এবং কছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত্য বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ ও ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন বিভাগে অংশগ্রহন করেছেন। প্রতিযোগির সংখ্যা এ পর্যন্ত্য জাতীয় স্তরে আয়োজিত সকল বিজ্ঞান বিষয়ক আয়োজনের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এত বেশি সংখ্যায় অংশগ্রহন কোনো সরকারী কর্মকান্ডেও কখনো হয় নি।
এখানে উল্লেখ্য যে, এই মেগা ইভেন্ট আয়োজনের জন্য কোনো সরকারী সহায়তা বা অন্য কোনো ধরনের আর্থিক সাহায্য গ্রহন হয়নি। এই উৎসবে দেশের বিখ্যাত বিজ্ঞানী, গণিতজ্ঞ, বিজ্ঞান সঞ্চারক এবং পদাধিকারীগণ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেছেন। ইসরো’র প্রাক্তন বিজ্ঞানী ড.ভরত ভাই চনিয়ারা, ড. জয়ন্ত জোশী, বিজ্ঞান প্রসারে’র ড. অরবিন্দ সী. রানাডে, ড. বি. কে. ত্যাগী, ড. কপিল ত্রিপাঠী, নেহেরু তারামন্ডলের প্রাক্তন নির্দেশক তথা ভারতীয় তারামন্ডল সোসাইটি’র অধ্যক্ষ এবং বিশিষ্ট মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. জে. জে. রাবল এবং ‘গণিত গুরু’ নামে প্রসিদ্ধ ইঞ্জি. বি. এন. রাও প্রভৃতি ব্যক্তিবর্গ এই বিজ্ঞান উৎসবে সম্মানীয় অতিথি হয়েছেন। এই মহানুভবগন অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে নিজেদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নিরিখে প্রতিযোগীদের বিভিন্ন মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে খুশী হয়ে বিজ্ঞানীগণ মন্তব্য করেছেন – ‘ভারতে বিজ্ঞান শিক্ষার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল’।
এই দুই আয়োজনের অধ্যক্ষতা করেছেন রমন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজী ফাউন্ডেশনে’র অধ্যক্ষ তথা গণিতের প্রচার-প্রসারে নিয়োজিতপ্রান ড. চন্দ্রমৌলি জোশী। উনি ইন্ডিয়ান সায়েন্স টেকনো ফেস্টিভ্যাল – ২০২১ -এর পরিকল্পনাও করেছেন।
ন্যাশান্যাল কাউন্সিল অব টিচার সায়েন্টিস্ট-এর জাতীয় সম্পাদক শ্রী সন্দীপ দিগম্বর পাতিল মহাশয়ের তত্ত্বাবধানে এই আয়োজন খুব সুন্দরভাবে সমাপ্ত হল আজ। এছাড়াও এ. পি. জে. আব্দুল কালাম ন্যাশান্যাল কাউন্সিল অব ইয়ং সায়েন্টিস্টে’র জাতীয় নির্দেশক শ্রী গজেন্দ্র গেপালা, জাতীয় রামানুজন ম্যাথ ক্লাবে’র জাতীয় সচিব ড. রাজেশ কুমার ঠাকুর,  ন্যাশান্যাল কাউন্সিল অব টিচার সায়েন্টিস্ট-এর জাতীয় সহ-সম্পাদক শ্রী অঞ্জন বনিক, গুজরাতের ভাবা ন্যাশান্যাল রিসার্চ একাডেমি’র জাতীয় নির্দেশক ড. শান্তিলাল ভোরানিয়া, এই সংস্থার ড. সুরেশ পারমার,  ন্যাশান্যাল চিল্ড্রেন ম্যাথ একাডেমি’র অধ্যক্ষ শ্রী বিরল ভাই মিস্ত্রি, সচিব ড. সঞ্জীব কুমার, হিমাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্রের উষা ইন্টারন্যাশন্যাল সায়েন্স টেকনো ইনোভেশান হাবে’র অধ্যক্ষ শ্রী জিবন মহাজন, জাতীয় আই. সি. টি. অ্যাওয়ার্ড -এ সম্মানীত শ্রীমতি উমারানী চিলুকা এবং ড. পরমজিৎ সিং, গুজরাতের শ্রী জিগ্নেশ সিন্চানয়া, জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রী কুলদীপ গুপ্তা, কর্নাটকের শ্রী এস. ভি. বুরলি, পশ্চিমবঙ্গের শ্রী বাসুদেব কামিল্যা, গুজরাতের শ্রী মনোজ জবানী, দিল্লীর শ্রীমতি বীনা ধিংরা ও শ্রী অমিত বাজাজ, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীমতি টি. তুলশী, কেরলের শ্রীমতি মিনি শেখর, উত্তর প্রদেশের বিজ্ঞান শিক্ষক শ্রী ব্রজেশ দীক্ষিত, বিহারের শ্রী রবি রৌশন কুমার এবং শ্রী রাজীব রঞ্জন, হরিয়ানার শ্রী দর্শনলাল বাবেজা, দমনের ড. সঞ্জয় পটেল. মহারাষ্ট্রের শ্রী সুনীল ওয়াংখেড়ে প্রভৃতি এই সফল আয়োজনে নিজ নিজ দায়িত্ব সুনিপুনভাবে পালন করেছেন।
নির্বাচিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা দিনে জাতীয় পর্যায়ের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হয়েছে। গত ২৬শে ফেব্রুয়ারীতে ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ীদের, গত ২৭শে ফেব্রুয়ারীতে রৌপ্য পদক বিজয়ীদের এবং আজ ২৮শে ফেব্রুয়ারীতে স্বর্ণ পদক বিজয়ীদের সম্মানিত করা হল।
অনুরূপভাবে, দ্য ইন্ডিয়ান টিচার সায়েন্টিস্ট ইনোভেশান অ্যাওয়ার্ড ফেস্টিভ্যাল – 2020 – এর পুরস্কারগুলি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উদযাপনের জাতীয় পর্যায়ের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিতরণ করা হল।
কোভিড – 19 মহামারীর পুরোপরি অবলুপ্তির পরে, বিজ্ঞান প্রসার ও ন্যাশান্যাল কাউন্সিল অব টিচার সায়েন্টিস্ট দ্বারা এ বছরের মধ্যভাগে সারা দেশের বিজ্ঞান সঞ্চারক ও শিক্ষকদের এক জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হল।

No comments