বাসন্তীপূর্ণিমার ভরা চাঁদটা রূপনারায়ণের রূপালী জলেচকচকে মুখটা যত্ন করে ধুয়ে নিতেইফুলের মিষ্টি গন্ধ এসে ঝাপটা দিল আমার শরীরে ঠিক প্রথম বসন্তের রঙীন দিনগুলোর মতোই...টুকরো টুকরো জোছনাগুলোকে মিহি করেবাহারী রঙের থালায় মিশিয়ে দিতেইসেই …
বাসন্তীপূর্ণিমার ভরা চাঁদটা রূপনারায়ণের রূপালী জলে
চকচকে মুখটা যত্ন করে ধুয়ে নিতেই
ফুলের মিষ্টি গন্ধ এসে ঝাপটা দিল আমার শরীরে
ঠিক প্রথম বসন্তের রঙীন দিনগুলোর মতোই...
টুকরো টুকরো জোছনাগুলোকে মিহি করে
বাহারী রঙের থালায় মিশিয়ে দিতেই
সেই কোন গায়েহলুদপুর থেকে ভেসে এল ঠাকুরমার সনাতনী সুর---
‘জোছনা মেশালেই মেয়েদের শরীর জুড়ে নামে অনন্ত যৌবনের ঢল...'
ঠাকুরদার চোখের দৃষ্টিতে তখন আবিল বসন্ত...
কথাটা পরখ করে দেখিনি কখনও, তবু বিশ্বাস করি খুব।
তাই বসন্ত আসলেই রঙে জোছনা মেশাই আজও একমনে।
রঙ হাতে নিলেই শাল-মহুয়ার গন্ধে মাতাল হয়ে ওঠে বাতাস
রুদ্রপলাশ রক্তিম হৃদয় বিছিয়ে দেয় পথে...
সে পথ ধরে মনে হয় হেঁটে আসে কেউ
পরনে পীতবাস, মাথার ময়ূরপালকে অজস্র নক্ষত্রের ঝিকিমিকি
হাতের মুদ্রায় আঁকা সেই আশ্চর্য মোহনবাঁশি, প্রেমের...
যে বাঁশি একবার বাজালেই কানে লাগবে নরম, গভীর ঢেউ, সুরের
বৃন্দাবনী ফাগুয়ার আবেগে ঘন হয়ে আসবে আমাদের শরীর ভালোবাসায়
রঙ উড়বে প্রজাপতির ডানা হয়ে...বসন্তের, প্রেমের, আগুনের...
No comments