আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন মহিষাদল তৃনমুল কংগ্রেস প্রার্থী তিলক চক্রবর্তী সমর্থনে মহিষাদল রাজ গ্রাউন্ডে জনসভা বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি তিনি বলেন।
বহিরাগত নেতারা বাংলা বলতে পারে না, বাংলা প…
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন মহিষাদল তৃনমুল কংগ্রেস প্রার্থী তিলক চক্রবর্তী সমর্থনে মহিষাদল রাজ গ্রাউন্ডে জনসভা বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি তিনি বলেন।
বহিরাগত নেতারা বাংলা বলতে পারে না, বাংলা পড়তে পারে না, বাংলায় কথা বলতে পারে না, বাংলায় কি লেখা আছে পড়তে পারবেনা, বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস কিচ্ছু জানেনা তারা নাকি সোনার বাংলা করবে। কালকে ইশতেহার প্রকাশ করেছে। দু’ঘণ্টা ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ভাষণ দিয়েছে। এদের এমন দুর্দশা বাংলার নির্বাচনের জন্য ইশতেহার প্রকাশ করছে একদিকে গুজরাটের এক ভদ্রলোক আরেকদিকে মধ্যপ্রদেশের এক ভদ্রলোক হিন্দিতে ইশতেহার প্রকাশ করছে আর বলছে সোনার বাংলা গড়বো।” রবিবারে কোলকাতা থেকে বিজেপির ইশতেহার প্রকাশের ঠিক পরের দিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের জনসভা থেকে বিজেপির ইশতেহার নিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মহিষাদলের জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, “কালকে বিজেপি ইশতেহার প্রকাশ করেছে। কত ভাষণ, এই করব তাই করবো। আপনারা ২০১৪ ও ২০১৯ সালে যেগুলো বলেছিলেন করেননি কেন? বিজেপির ইশতেহার অডিও ক্যাসেটের মত, শুধু শোনা যায় চোখে, দেখা যায় না। আর তৃণমূলের ইস্তাহার হাই কোয়ালিটির ডিভিডি। শোনাও যায় আর দেখাও যায়।”
বিজেপির সোনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে তুলোধোনা করে বলেন, “ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী দুদিন আগে খড়্গপুরের সভা করে বলে গেছেন উন্নয়ন হবে। বিজেপির উন্নয়নের মডেল আপনারা দেখেছেন। বলছে সোনার বাংলা হবে। এদের জিজ্ঞেস করুন ২০১৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ভারতবর্ষের কেন্দ্রের সরকার আপনাদের হাতে কিন্তু তাও সোনার ভারত বর্ষ হয়নি কেন? আপনারা দু’দশক ধরে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাটের মতো জায়গায় ক্ষমতায়। সোনার মধ্যপ্রদেশ ও সোনার গুজরাট হয়নি কেন? আর এখন বলছে সোনার বাংলা গড়বো। সোনা আর বলতে পারছে না, বলছে সুনার বাংলা। বাংলা বলতে পারেনা তাই পেছন থেকে কেউ একটা বলে দিচ্ছে আর ওটা শুনে বলে দিচ্ছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি যারা বলছে সোনার বাংলা করব একটা মঞ্চে একদিকে আপনি দাঁড়াবেন আরেকদিকে আমি দাঁড়াবো। আপনাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে গেলাম আমার বয়স ৩৩, আর আপনাদের কারোর ৬৫, ৭০, ৬২, ৬৪। কোন কাগজ ছাড়া আর টেলিপ্রমটার ছাড়া দুমিনিট বাংলায় কথা বলে দেখান। আমি সবাইকে বলব আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে গেলাম একপ্রান্তে আপনি দাঁড়াবেন, আরেক প্রান্তে আমি দাঁড়াবো। আপনি দুমিনিট বাংলা বলবেন কাগজ ছাড়া আর আমি একঘন্টা হিন্দি বলব কাগজ ছাড়া। ক্ষমতা থাকলে আপনি চ্যালেঞ্জ একসেপ্ট করুন।”
অভিষেক স্বাস্থ্য সাথী আর আয়ুষ্মান ভারতের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “আয়ুষ্মান ভারত কেন্দ্রীয় সরকার ১০কোটি মানুষের মধ্যে দিতে চেয়েছিল শুধুমাত্র ১০শতাংশ লোককে। শুধুমাত্র ১ কোটি লোককে। বাকি সাড়ে ৯ কোটি লোক কোনো পরিষেবা পাবেনা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন আমি যখন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী আমার কোন জাতি ধর্ম নেই আমার একটাই ধর্ম সেটা মানব ধর্ম। আমি যদি পরিষেবা দেই বাংলার প্রত্যেক বাড়িতে সেই পরিষেবা যাবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুরু করলো স্বাস্থ্য সাথী। শুনে রাখুন আয়ুষ্মান ভারতে মাথার ওপর ছাদটা যদি পাকা থাকে, আপনার বাড়ির কোন পরিবারের সদস্যরা হাতে যদি স্মার্ট ফোন থাকে, বাড়িতে কারোর যদি মোটরসাইকেল থাকে, বাড়িতে টিভি থাকলে আয়ুষ্মান ভারত পাবেন না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য সাথি কিছু থাকলেও পাবে, আর না থাকলেও পাবে। আজকের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেস -সভাপতি দেবপ্রসাদ মন্ডল, হলদিয়া উন্নয়ন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অশোক মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি জেলা সহ-সভাপতি আজগর আলী পল্টু মহিষাদল তৃণমূল কংগ্রেস সহ-সভাপতি শিউলি দাস,পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানস দাস সঞ্চালনা করেন প্রমূখ।
No comments