আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম এখন নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দু হেভিওয়েট প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বি শুভেন্দু অধিকারী এবং বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী মীনাক্ষী দে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার…
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম এখন নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দু হেভিওয়েট প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বি শুভেন্দু অধিকারী এবং বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী মীনাক্ষী দে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার এর জন্য ইতিমধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টিরপ্রার্থীদের প্রচারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী এসেছেন রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমিতি করেছেন ।এবারে কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি থেকে কৃষক নেতৃত্ব এলেন রাজ্যে। বিজেপি বিরোধী প্রচার নিয়ে যদিও ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী ৫০হাজার ভোটে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হারাবেন বারবার শোনা গিয়েছিল। ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতারা এসে বললেন বিজেপিকে একটা ভোট নয়।
ভোটের মুখে বাংলায় বিজেপি-বিরোধী শক্তিকে আরও মজবুত করার বার্তা দিলেন দিল্লির কৃষক নেতারা। ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন বিজেপি-কে ভোট না দেওয়ার বার্তা দিলেন, সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে পরিচিত মুখ মেধা পাটকর।সেখানেও বিজেপি-কে ভোট না দেওয়ার প্রচার করেন। উল্লেখ্য, দিল্লির কৃষক নেতারা ছাড়াও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামে স্থানিয় নেতৃত্ব। রাকেশ বাবু আরও বললেন, ‘‘আর যাকে খুশি ভোট দিন, বিজেপি-কে একটিও ভোট দেবেন না। কারণ, দিল্লিতে কোনও প্রশাসন চলছে না, চলছে একটি ঠগের সরকার।’’ এক কথায় ‘নো ভোট টু বিজেপি’-র সুরই শোনা গেল কৃষক নেতাদের মুখে। কলকাতার মহাপঞ্চায়েত সেরে বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে পৌঁছেন নেতারা।
বাংলায় ভোটের প্রচারে নিয়মিত আসছেন দিল্লির বিজেপি নেতারা। সেই প্রসঙ্গ টেনে রাকেশের কটাক্ষ ‘‘শুনছি দিল্লির নেতারা পশ্চিমবঙ্গে আসছেন, থাকছেন। তাই আমরাও দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসেছি ওঁদের খুঁজতে।’’ শুধু তাই নয়, অমিত শাহ-সহ বিজেপি নেতারা যেভাবে বাংলা সফরে এসে বিভিন্ন সময়ে বাড়ি বাড়ি মধ্যাহ্নভোজ সারছেন, সেই নিয়েও কটাক্ষ করেন রাকেশ। বলেন, ‘‘ভোটের মুখে আপনার বাড়িতে যদি ভাত খেতে ওঁরা আসেন, তাহলে ভাত দেবেন। কিন্তু পাশাপাশি জিজ্ঞাসা করবেন, ধানের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের কী হল! আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দিল্লিতে কেউ আলোচনায় বসছেন না কেন? তিনটি কৃষি আইন কবে বাতিল করা হবে?’’
সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ প্রচার শুরু হয়েছে। রাজ্যের সাথে, জেলায় জেলায় এই প্রচার নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন বিজেপি বিরোধীরা। কৃষক নেতাদের সুর প্রথম থেকেই সেই প্রচারের সুরেই বাঁধা ছিল। তাঁরা বললেন, ‘‘বিজেপি আসলে একটি কর্পোরেটদের পার্টি। অনেকটা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো, এটা কোনও রাজনৈতিক দল চালায় না, চালায় কোম্পানি। তাই বিজেপি-কে একটিও ভোটও দেবে না।’’
No comments