আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে নতুন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পুরাতন দিনের ইতিহাস মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে উঠছে।দিল্লির বিজেপিতে দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘরোয়া পরিবেশে কথা বলছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলার…
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে নতুন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পুরাতন দিনের ইতিহাস মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে উঠছে।দিল্লির বিজেপিতে দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘরোয়া পরিবেশে কথা বলছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলার ভোট-ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, “কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা নয়, বিজেপি চাইছে উন্নয়নের বিকল্প মডেলও তুলে ধরতে। এই যেমন আমরা সমীক্ষা করে দেখেছি, যে নন্দীগ্রামে জোর করে জমি নেওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিল, সেখানেও মানুষ শিল্প চাইছে। ১২০০ জনের মধ্যে ১১০০ জনের বেশিই শিল্পের পক্ষে রায় দিয়েছেন।”মঙ্গলবার ১৬ মার্চ নন্দীগ্রামের ১ নম্বর ব্লকে কর্মিসভায় শুভেন্দু অধিকারীও সেই কথাই বললেন। তাঁর কথায়, “গায়ের জোরে জমি নিয়ে কেমিকেল হাব তৈরি বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছিলাম। কিন্তু নন্দীগ্রামেও শিল্প হবে। শুভেন্দু এও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গুরে শিল্প বন্ধ করেছেন। তাঁর অভিপ্রায় কখনও তা ছিল না। শুভেন্দুর অধিকারী দাবি করে বলেন, নন্দীগ্রামের কাছে জেলিংহামে প্রকল্পের কাজ শুরু করার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বারবার দরবার করেছিলেন। কিন্তু তা শোনা হয়নি। উল্টে জেলিংহামের শেয়ার রাজ্য সরকার বেচে দিয়েছে। নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক বর্তমান বিজেপি প্রার্থী এও বলেন, নন্দীগ্রামে রেলের প্রকল্পও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ করতে দেননি। বলেছিলেন, গোকুলনগরে একটি আবাসিক স্কুল হবে, তাও করেননি মাননীয়া।”
শিল্পের জন্য গায়ের জোরে জমি অধিগ্রহণের কথা বলছে না বিজেপিও।
তিনিও বলেন, “শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে জমির মালিককে উপযুক্ত মূল্য দিতে হবে। সেখানে যে শিল্প হবে সেই কাজে তাঁকে বা তাঁর পরিবারের কাউকে চাকরির সুযোগ দিতে হবে। দেখতে হবে যে, লগ্নিকারী ও জমির মালিক দুজনেরই স্বার্থই যাতে অক্ষুন্ন থাকে।”
No comments