১৪ ই মার্চ ২০০৭ সালে নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল নন্দীগ্রামে। সেই নন্দীগ্রামের আন্দোলনের পথ ধরে রাজ্য রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছিল। দীর্ঘ বাম জমানার পতন করে নতুন সরকার মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সকল শহীদ স্মরণে নন্দীগ্…
১৪ ই মার্চ ২০০৭ সালে নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল নন্দীগ্রামে। সেই নন্দীগ্রামের আন্দোলনের পথ ধরে রাজ্য রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছিল। দীর্ঘ বাম জমানার পতন করে নতুন সরকার মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সকল শহীদ স্মরণে নন্দীগ্রাম দিবসে গোকুলনগরে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানানোর পরে বলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।এদিন সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের সোনাচুড়া ও ভাঙ্গাবেড়িয়ায় শুভেন্দুকে শহীদ স্মরনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে।যাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
শহীদ বেদী থেকেই মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, গোকুলনগরে গুলি চালিয়েছিলেন যে সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে তৃণমূলে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে পুলিশ অফিসার অরুণ গুপ্ত এবং তন্ময় রায়চৌধুরী নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়েছিলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে তাঁদের পদোন্নতি হয়েছে। ক্ষমা করবেন না। আমি শহিদ পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধ। দলমত, সম্প্রদায় নির্বিশেষে নন্দীগ্রামের মানুষ আমার আত্মীয় স্বজন। আমি সকলের পাশে রয়েছি এবং থাকব।
একই সাথে সিঙ্গুরের জমি রক্ষার আন্দোলনের ইতিহাস সরকারি পাঠ্য বইতে স্থান পেলেও কেন নন্দীগ্রাম পেলনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ।
শহীদ বেদিতে মাল্যদান করার পর মাইক হাতে শুভেন্দু দাবি করেন, এই নন্দীগ্রামে সেই সময়ে আমরা ঢুকতে পারতাম না। কিন্তু তখন লালকৃষ্ণ আডবানি, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিংরা সাহায্য করেছেন। তাঁরা সাহায্য না করলে কোনওভাবেই নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারতাম না আমরা। বিজেপি না থাকলে নন্দীগ্রাম আন্দোলন হত না।একই সাথে কটাক্ষ এবার যারা এসেছে গত ১৩ বছর ধরে ওদের দেখা যায়নি।আগামী বছরেও ওদের দেখা যাবে না ।আমি ছিলাম থাকবো।
No comments