নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই শুভেন্দু অধিকারীর সব অভিযোগের জবাব দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রার্থী হচ্ছেন শুনে এখন পালাতে চাইছেন অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে। তিনি…
নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই শুভেন্দু অধিকারীর সব অভিযোগের জবাব দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রার্থী হচ্ছেন শুনে এখন পালাতে চাইছেন অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে। তিনি নন্দীগ্রামে দাঁড়ালে তার জামানত জব্দ করার ডাক দেন কুণাল।
মঙ্গলবার, নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সভার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ভিড়ে ঠাসা সভাস্থলে শুভেন্দু অধিকারীর নাম বলতেই জনগণের মধ্যে থেকে আওয়াজ ওঠে ‘গদ্দার’। কুণাল ঘোষ কিছু বলার আগেই, জনগণ বলে দেন “নন্দীগ্রামে ওর জায়গা নেই”। সভায় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি ও তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য-সহ জেলার নেতারা।
আদালতকে লেখা সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠির কথা উল্লেখ করে কুণাল ঘোষ বলেন, এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ -সহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি পাঠিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে শুভেন্দু অধিকারীকে তাঁর মুখোমুখি বসানোর দাবি তোলেন কুণাল। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন তিনি নাকি চিটফান্ডের টাকা কোথায়, কার কাছে আছে সেটা জানেন। তাহলে শুভেন্দু সত্য গোপন করছেন। সত্য গোপন করার অপরাধে কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না? প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী যাঁর কথা বলেছেন, তিনিও এখন বিজেপিতে আছেন বলে অভিযোগ করেন কুণাল।
ইদানিং বিজেপিতে গিয়ে বিভিন্ন জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করছেন, এতদিন নন্দীগ্রামের দিকে নজর দেয়নি তৃণমূল। এই অভিযোগ নস্যাৎ করে কুণাল ঘোষ বলেন, নন্দীগ্রামকে দেখার দায়িত্ব তৃণমূল নেত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন না করে, উল্টে নিজের পিঠ বাঁচাতে এখন বিজেপিতে গিয়ে আদি নেতাদের থেকেও বড় বিজেপি হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন।
বিভিন্ন সভায় গিয়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে কটাক্ষ করেন। এর জবাবও দেন কুণাল। তিনি বলেন, যুব নেতা ও সাংসদ হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের বেশিরভাগ লোক পরিবারতন্ত্রের সুবিধা নিয়ে যত রকমের পদ ও ক্ষমতা পাওয়া যায় সব উপভোগ করেছেন।
No comments