পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩ নং ব্লকের দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের একটা বড়সড় দুর্নীতি সামনে এলো ।গত ১০ ফেব্রুয়ারি দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের এক গুচ্ছ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানির কাছে লিখিত অভিযোগ জানা…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩ নং ব্লকের দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের একটা বড়সড় দুর্নীতি সামনে এলো ।গত ১০ ফেব্রুয়ারি দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের এক গুচ্ছ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানির কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় তৃনমূল ছাত্র পরিষদ।
দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের প্রশাসক তথা কাঁথির মহকুমাশাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানির কাছে পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছিল কলেজের গৃহ নির্মান ও আসবাবপত্র নির্মানে দুর্নীতি হয়েছে।গেস্ট টিচারদের স্টেট এডেড টীচার পদে নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে।এছাড়াও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ করা হয় এই ডেপুটেশান কর্মসূচীতে।সেই অভিযোগের সাত দিনের মধ্যেই কলেজের আসবাবপত্র নির্মানে দুর্নীতির প্রমান সামনে এলো ।জানা গেছে মারিশদা থানার বেতালিয়ার বাসিন্দা কাঠ মিস্ত্রী আলেম আলি খান দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের প্রশাসক তথা কাঁথির মহকুমাশাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।আলেম আলি জানিয়েছেন তিনি কলেজে ফার্নিচারের কাজ করেছিলেন।এর জন্যে খরচ হয়েছিলো ১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা ।অথচ এই কাজের জন্যে খরচ দেখানো হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা ।আলেম আলির অভিযোগ কলেজের দুই উচ্চ পদস্থ কর্মচারীর মদতেই এই দুর্নীতি হয়েছে।বিষয়টি তাঁর নজরে আসতেই তিনি গত ১৫ তারিখ লিখিত ভাবে এই অভিযোগ জানিয়েছেন।যদিও এই বিষয়ে দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের প্রশাসক তথা কাঁথির মহকুমাশাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানির কাছ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।কলেজের দুই অভিযুক্ত কর্মীও মুখ খোলেনি।তবে কলেজের ফার্নিচার নির্মানে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার দুর্নীতির খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।উল্লেখ্য কিছু দিন আগে পর্যন্ত এই কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দ অধিকারী।গত জানুয়ারি মাসে দিব্যেন্দু অধিকারীকে এই পদ থেকে সরিয়ে কাঁথি দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের প্রশাসক হিসেবে কাঁথির মহকুমাশাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানিকে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার।
No comments