Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন কলেজের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিলেন

আগেই  দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে শিশির অধিকারী এবং কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী কে সরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার রাজ্য সরকারের 'কোপে' পড়…

 





আগেই  দিঘা- শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে শিশির অধিকারী এবং কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী কে সরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার রাজ্য সরকারের 'কোপে' পড়লেন শুভেন্দুর আরেক ভাই, সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর পরে সৌমেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে অধিকারী পরিবারের কর্তা তথা কাঁথি র সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু  তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন। তবে, এরইমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সবকটি কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি পদ থেকে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী কে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার।  প্রায় সবকটি সরকারি পদ থেকে অধিকারী পরিবারের চার সদস্যকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে কার্যত সম্পর্ক পাকাপাকিভাবে ছিন্ন করার পথে প্রায় শেষ পর্বে পৌঁছে গেল।

প্রশাসন ও শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে- তাম্রলিপ্ত মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির প্রশাসক হিসেবে তমলুকের মহকুমাশাসক প্রণব সাঙ্গুই, নন্দীগ্রাম সীতানন্দ মহাবিদ্যালয়ের প্রশাসক হিসেবে হলদিয়ার মহকুমাশাসক অবনীত পুনিয়া, এবং কাঁথি দেশপ্রাণ কলেজের প্রশাসক হিসেবে সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানিকে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। কাঁথি দেশপ্রাণ কলেজ এবং নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজ পরিচালন কমিটি গত ১৫ জানুয়ারি ভেঙে দেয় রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। তবে, তাম্রলিপ্ত মহাবিদ্যালয়ে ২৫ জানুয়ারি পরিচালন কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ এসে পৌঁছয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন। তিনটি কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে ছিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের পরিচালন কমিটির সরকার মনোনীত সদস্য রয়েছেন দিব্যেন্দু।ওই কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। তিনি আগেই পদত্যাগ করেছিলেন। তবে, দিব্যেন্দু কে পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে মহিষাদল গার্লস কলেজে ও মনোনীত করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সে সময় দায়িত্ব নেন নি দিব্যেন্দু।ওই কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি পদ এখন পর্যন্ত ফাঁকা রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দিব্যেন্দু অধিকারী পরিচালিত দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ে একাধিক আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিল দিব্যেন্দু র দল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন। পরে,শুক্রবার ওই কলেজের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানিয়ে রাজ্য সরকারের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কাছে লিখিত চিঠি জানিয়েছে কলেজের বেশ কয়েকজন জমিদাতা এবং স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। এ প্রসঙ্গে কলেজেরই এক জমি দাতা অনুপ মাইতি বলেন ," মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এলাকার বাসিন্দারা কলেজ গড়তে জমি দিয়েছিল।প্রকাশ্যে আসছে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার। কারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করুক।" 

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের পরামর্শ মেনেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তিনটি কলেজ পরিচালনা কমিটি ভেঙে দেওয়া হল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। জেলার তিনটি কলেজ পরিচালন কমিটি থেকে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী কে সরিয়ে দেওয়া হলেও, হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সরকার মনোনীত সদস্য পদে বহাল রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই পদ থেকে ও দিব্যেন্দু কে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছে রাজনীতিকরা। যদিও এদিন রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন,"দেশপ্রাণ কলেজ থেকে আমি আগেই পদত্যাগ করেছি। বাকি কলেজগুলিতে কি হয়েছে আমি জানিনা।"


No comments