ভুবন খ্যাত নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ আন্দোলনের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত ৭ ই জানুয়ারী ভাঙাবেড়ায় সিপিঅাইএম হার্মাদদের হাতে শহীদ হওয়া ভরত মন্ডল, বিশ্বজিৎ মাইতি,সেক সেলিম-এর স্মরণ সভা অায়োজিত হয়। ভোর ৪.৪০ মিঃ…
ভুবন খ্যাত নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ আন্দোলনের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত ৭ ই জানুয়ারী ভাঙাবেড়ায় সিপিঅাইএম হার্মাদদের হাতে শহীদ হওয়া ভরত মন্ডল, বিশ্বজিৎ মাইতি,সেক সেলিম-এর স্মরণ সভা অায়োজিত হয়। ভোর ৪.৪০ মিঃ সময়ে ভাঙাবেড়া শহীদ বেদীতে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে শহীদ স্মরণ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও সাংসদ সুব্রত বক্সী।উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের শহীদ মাতা ফিরোজা বিবি, সহকারী সভাধিপতি সেক সুপিয়ান, প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন, সহঃ সভাপতি অাবু তাহের, জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি,পার্থ প্রতিম দাস, স্বদেশ দাস,প্রনব মহাপাত্র,সেক সাহাউদ্দিন,সোয়েম কাজী,আজগর আলি (পল্টু)প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। পরে ভাঙাবেড়ায় শহীদ স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও সাংসদ সুব্রত বক্সী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক ফিরোজা বিবি, সহঃ সভাধিপতি সেক সুপিয়ান, প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন, জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, সহঃ সভাপতি অাবু তাহের,পার্থ প্রতিম দাস, স্বদেশ দাস, প্রনব মহাপাত্র প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করেন সঞ্জয় পাত্র।তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা সুব্রত বক্সী বলেন নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ অান্দোলন নন্দীগ্রাম মানুষের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ফসল।জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয় উপস্থিতি ও অনুপ্রেরণা অান্দোলন কে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিল। যৌথ নেতৃত্বের মাধ্যমে অান্দোলন সফলতা পেয়েছিল।শহীদদের রক্তস্রোত ও অগণিত মানুষের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম ও ত্যাগের উপর দাঁড়িয়ে সারা দুনিয়ায় নন্দীগ্রাম ভূমি অান্দোলন শাসকের ভিতকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন নন্দীগ্রাম ভূমি অান্দোলন নন্দীগ্রামের অাপমর মানুষের ত্যাগ,তিতিক্ষা ও সংগ্রামের সম্মিলিত মঞ্চের সফলতার ইতিহাস। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথার উপরে ছাদের ভূমিকা পালন করেছেন। কেউ নন্দীগ্রাম অান্দোলনের পেটেন্ট দাবী করতে পারেন না।শহীদদের রক্তে রাঙানো পথকে নিজের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠার প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে মমতার ক্ষমতা ভোগ করে উচ্চাকাঙ্খা পূরণের জন্য পথভ্রষ্ট হয়ে বিভেদ কামী ও মেরুকরণের রাজনীতির দিশারী বিজেপির পতাকাতলে সামিল হয়ে গণঅান্দোলনকে অপবিত্র করেছেন তাঁকে নন্দীগ্রাম তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষ ক্ষমা করবে না বলে দৃঢ়তার সাথে অভিমত প্রকাশ করেন মামুদ হোসেন।
No comments