১৯৩৬ সাল থেকে ভারত বর্ষ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুমোদিত গভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া আইন বলে শাসিত হয়ে এসেছে । ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত ইংরেজ শাসন মুক্ত হয় । কিন্তু ভারতবর্ষের তখন নিজস্ব সংবিধান ছিল না । ১৯৪৭ সালের ২৮ আগস্ট সংবিধান রচনার …
১৯৩৬ সাল থেকে ভারত বর্ষ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুমোদিত গভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া আইন বলে শাসিত হয়ে এসেছে । ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত ইংরেজ শাসন মুক্ত হয় । কিন্তু ভারতবর্ষের তখন নিজস্ব সংবিধান ছিল না । ১৯৪৭ সালের ২৮ আগস্ট সংবিধান রচনার জন্য খসড়া তৈরি করতে একটি কমিটি গঠন করা হয় ডক্টর বি আর আমেদকার এই কমিটির সভাপতি হন । ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর নতুন এই খসড়া সংবিধান সাংবিধানিক সভায় অনুমোদন পায় । রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর নতুন সংবিধানে স্বাক্ষর করে আইনি স্বীকৃতি দেন । এই সংবিধান কার্যকর হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে । এই দিনটি মর্যাদা পায় ' সাধারণতন্ত্র ' দিবস হিসাবে । ২৬ জানুয়ারি প্রতিবছর লক্ষ্য করা যায় এই দিবস কি ' প্রজাতন্ত্র দিবস ' হিসাবে কিছু বিজ্ঞাপন এবং কিছু নাগরিকগণ উদযাপন করেন এই নামে । স্বাধীন ভারত সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কয়েক দফা নির্বাচনের পর আজও আমরা প্রজা হয়ে রইলাম ? ভারতবাসীরা স্বাধীনতার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ইংরেজদের প্রজা ছিল । পরাধীন ভারতবর্ষে ভারতের অধিবাসীরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনস্থ ছিল । স্বাধীন ভারতে আমরা প্রত্যেকে ভারতীয় নাগরিক বা সিটিজেন । ইংরেজিতে নাগরিক বলতে সিটিজেন এবং প্রজা বলতে সাবজেক্ট শব্দ ব্যবহার হয় । নাগরিক বলতে আক্ষরিকভাবে ভারত রাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দাদের বোঝানো হয় । ভারতের সংবিধানে কোথাও সাবজেক্ট শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি । দেশের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আপনি অামিন সকলেই নাগরিক । সেই কারণে অন্তত আইনের চোখে সমান অধিকারের প্রত্যাশী । প্রজা বললেই বোঝায় যিনি রাজা বা জমিদারের অনুগত । আমরা অবশ্যই অনুগত । তবে এই আনুগত্য শুধুই দেশের সংবিধানের প্রতি এবং আইনের প্রতি । ভারতের মূল সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে 'সোভারিন ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক ' রূপে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ছিল । ১৯৭৬ সালের ৪২ তম সংশোধনী এর সঙ্গে দুটি শব্দ যথা ' সোশালিস্ট ', ' সেকুলার ' যুক্ত করে ভারতকে 'সোভারিন সোশালিস্ট সেকুলার ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক ' অর্থাৎ সার্বভৌম সমাজতন্ত্রী ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র করা হয় । রিপাবলিক শব্দের বাংলা পরিভাষা হল সাধারণতন্ত্র । আমাদের দেশে কিছু নাগরিক সাধারণতন্ত্র দিবস কে প্রজাতন্ত্র দিবস বলে উদযাপনের মধ্য দিয়ে জাতিকে লজ্জিত ও অবমাননা করছেন অসচেতনতার কারণে । বহু মানুষের আত্ম বলিদান এর মধ্য দিয়ে যারা শহীদ এবং বহু মানুষের আত্মত্যাগ এর মধ্য দিয়ে ভারত বর্ষ স্বাধীনতা অর্জন করেছে । ভারতবর্ষকে জগতের মধ্যে সবদিক থেকে শ্রেষ্ঠ আসনে পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করার লক্ষ্যে ৭২ তম সাধারণতন্ত্র দিবস আমাদের শপথ হোক শাসক দল এবং অন্যান্য দল আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে বহু সাফল্য অর্জিত হবে এই পথ ধরে , তাই সকলকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দলের থেকেও প্রধান গুরুত্ব দেওয়া উচিত দেশকে এবং দেশের সকল নাগরিকদের কল্যাণ সুনিশ্চিত করতে ।
No comments