ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/bUW_LgOCNQwঅন্যান্য বছরের মতো এ বছরও হলদিয়া পালিত হল রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী জন্মদিন। ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ঢাকা জেলার মালিকান্দা ১৮৯১ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর যাদব পরিবার…
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/bUW_LgOCNQw
অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও হলদিয়া পালিত হল রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী জন্মদিন। ডঃ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ ঢাকা জেলার মালিকান্দা ১৮৯১ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর যাদব পরিবারে তার জন্ম হয়। শিক্ষক পিতা পূর্ণ চন্দ্র ঘোষ এবং মাতা বিনোদিনী দেবী। পিতা-মাতা দুজনেই ধার্মিক গ্রামীণ সাদাসিধে মানুষ ছিলেন ।প্রথম থেকেই শ্রী ঘোষ মেধাবী ছাত্র ছিলেন। এবং প্রায় সমগ্র শিক্ষা জীবনে বৃত্তি সহ প্রথম স্থান অধিকার করেন।১৯১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন গবেষণায় আরম্ভ করেন। এবং পরে কলকাতা টাকশালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে এ এস এ মাস্টার (মুদ্রা ধাতু বিশুদ্ধতা নির্ণায়ক) পদে যোগদেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে ডেমনস্ট্রেট পদে অংশগ্রহণ করেন।১৯২০সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে রসায়ন ডক্টরেড ডিগ্রী প্রদান করেন। বিজ্ঞানের কয়েকটি বিষয় নিয়ে আদামহরী এবং আইনস্টাইনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছিলেন।১৯০৯ সালে ঢাকা অনুশীলন সমিতির সদস্য হিসেবে স্বদেশী আন্দোলনে যুক্ত হন। এবং সমগ্র বিপ্লবে উৎসাহিত হন ।কিন্তু সমিতির চুরির মাধ্যমে টাকা তোলার পদ্ধতি তার ভাল লাগেনি ।তাই ১৯১৩ সালের সমিতির ত্যাগ করে অধ্যায়নে মনোনিবেশ করেন ।পরে বিপ্লবী পুলিন দাশের সংস্পর্শে আসেন এবং দামোদর বন্যা তহবিল সংগ্রহের কাজে যুক্ত হওয়ার সময় সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি সঙ্গে যোগাযোগ হয়। যোগেন্দ্র নাথ সাহা তাকে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন বিষয়ে উৎসাহিত করেন। প্রথম প্রথম তার এই আন্দোলন মনে ধরে নি। কিন্তু ১৯২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় মহাত্মা গান্ধীর বক্তিতা শুনে প্রভাবিত হন। এবং ১৯২১ সালের জানুয়ারিতে চাকরি ছেড়ে অনামী সদস্যদের নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আট বছর কারারুদ্ধ ছিলেন তিনি।তিনি ১৯৫৩ সালে অখন্ড মেদিনীপুরের সুতাহাটা বিধানসভার অন্তর্গত বাড় বাসুদেবপুর গ্রামে প্রায় ৮৭ বিঘা জমি ক্রয় করে তিনি কৃষি, মৎস্য চাষ, বিজ্ঞানাগার, লোকশিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।খাদি প্রচার গ্রাম সংগঠন উন্নত চাষের প্রয়োগ, উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা, এবং জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি কাজে তিনি নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত জ্ঞান মন্দির ছিল বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষনা কেন্দ্র। হোমিওপ্যাথি এবং এলোপ্যাথিক জ্ঞান বিজ্ঞান মন্দির উদ্বোধন করতে এসেছিলেন বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু।
১৯৬০ সালে বাড় বাসুদেবপুর লোকভারতী ট্রাস্টি ত্যাগ করেন। সেই জায়গা পড়ে রয়েছে অনাদরে। হলদিয়া একটি বন্দর পত্রিকার উদ্যোগে এলাকার মানুষকে একত্রিত করে প্রফুল্ল ঘোষ স্মৃতিরক্ষা কমিটির ১৩০ তম জন্মদিন পালিত হল ।৩০ পাউন্ড কেক কাটার মধ্য দিয়ে। স্মৃতি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক দুর্গা পদ মিশ্র দাবি
রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর আবাস বাড়ি লোক ভারতী কে হেরিটেজ কেন্দ্র ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা। বালুঘাটা থেকে কুকুর হাটী রাস্তাটি ডঃ ঘোষের নামে নামাঙ্কিত করা। উল্লেখযোগ্য উক্ত রাস্তাটি ডঃ প্রফুল্ল ঘোষ গ্রাম উন্নয়ন পরিকল্পনার একটি অংশ।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষক রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত ডঃ সুজন কুমার বালা, সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তাপস কুমার মাইতি, হলদিয়া উন্নয়ন পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রাক্তন শিক্ষক আলক রঞ্জন দাস, চকদ্বীপা হাই স্কুলে প্রাক্তন শিক্ষক গোপাল চন্দ্র সেন,প্রাক্তন শিক্ষক আনকো আলো পত্রিকার সম্পাদক অসীম কুমার মাইতি,
শিক্ষক হরিপদ বোয়াল, সান্তনা শেঠ, তনুশ্রী মিস্ত্রি মনিষ ঘোষ, অরূপ মাইতি, ডাক্তার এ আর খান, অচিন্ত্য বেরা, গোলাম মুস্তাফা, সুধাময় সিনহা, প্রোসেনজিত ভৌমিক জয়ন্ত সেট ভোলানাথ সাহু তপন দাস,গৌতম বিশ্বাস, অতনু দাস (রাজু) সুন্দর সুস্বাদু ৩০ পাউন্ড কেক বিদ্যুৎ বেকারি। সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বীরেন্দ্রনাথ মাইতি প্রমূখ।
No comments