মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া এক নম্বর চক্রের নারান্দা নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, শিক্ষারত্ন শ্রীমতি দুর্গা রানী দে মহাশয়া তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয় পাঁশকুড়া বাটলি বাট হাই স্কুল হোস্টেল প্রাঙ্…
মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া এক নম্বর চক্রের নারান্দা নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, শিক্ষারত্ন শ্রীমতি দুর্গা রানী দে মহাশয়া তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয় পাঁশকুড়া বাটলি বাট হাই স্কুল হোস্টেল প্রাঙ্গনে অভিভাবিকা এলাকার মানুষজন এবং প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আজ ১৭ ই ডিসেম্বর তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা দিবস যথাযোগ্য শ্রদ্ধা এবং মর্যাদার সঙ্গে পালন করেন। এছাড়া কমিউনিটি তে গিয়ে এবং অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দিনটিকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দেশপ্রেম মূল্যবোধ ও স্বদেশ চেতনা অক্ষুন্ন রাখার জন্যএবং দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে মেদিনীপুরের গৌরবময় ভূমিকা সর্বদা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার জন্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করেন । ১৯৪২ সালের ১৭ ই ডিসেম্বর পরাধীন ভারতবর্ষে তমলুকের বুকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। এই সরকারের সর্বাধিনায়ক এর দায়িত্বে ছিলেন মহান বিপ্লবী শ্রী সতীশচন্দ্র সামন্ত। অনুষ্ঠানে এই মহান বিপ্লবীর উদ্দেশ্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রদ্ধা এবং প্রণাম নিবেদন করা হয়। তাঁর নেতৃত্বে 1944 সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মাস পর্যন্ত
সফলভাবে কাজ করেছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। তমলুক তথা মেদিনীপুর বাসির গৌরবের বিষয় এবং অসীম সৌভাগ্য এরকম একজন মহামানব মেদিনীপুরের বুকে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তাঁর কর্ম এবং সাধনা দিয়ে মেদিনীপুরের মাটিকে উজ্জ্বল ও পবিত্র করেছেন। 1942 সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমিকায় আমাদের দেশ ভারত বর্ষ যে সর্বাত্মক বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল তারই অনিবার্য পরিণতি রুপে ভারতবর্ষের বুকে প্রতিষ্টিত হয়েছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। এই সরকার প্রায় দুই বছর কাল তমলুক মহাকুমার বুকে বিদেশি সরকারের সমস্ত চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে স্বাধীন সরকার হিসাবে কাজ করেছিল। অধিনায়কের দায়িত্বে শ্রীসতীশচন্দ্র সামন্ত ছিলেন সত্যনিষ্ঠ, মুক্তি সাধক, অসাধারণ কর্মযোগী এবং তমলুকের মুকুটহীন সম্রাট।
No comments