Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তা৪৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হলদিয়া দ্বিতীয় জেটি উদ্বোধনের অপেক্ষায়

নদীপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য ৪৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হলদিয়া মাল্টি মডেল টার্মিনাল উদ্বোধন হবে জানালেন কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্র। হলদিয়া পাতিখালী হুগলি নদীর উপর তৈরি বিশাল যেটি এবার ভারত বাংলাদেশ ও নেপালের মতো নদীপথে আন্তর্…

 





নদীপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য ৪৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হলদিয়া মাল্টি মডেল টার্মিনাল উদ্বোধন হবে জানালেন কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্র। হলদিয়া পাতিখালী হুগলি নদীর উপর তৈরি বিশাল যেটি এবার ভারত বাংলাদেশ ও নেপালের মতো নদীপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। তিন দেশের মধ্যে অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবহার করে কম খরচে নানা ধরনের পণ্য আমদানি রপ্তানির জন্য কাজে লাগানো হবে। টার্মিনালের চারটি জেঠি বছরে ৫০ লক্ষ টন পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে এই টার্মিনালে। সম্প্রতি হলদিয়ায় কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী মনসুক লক্ষণ ভাই মান্ডভ্য জানান টার্মিনাল নির্মাণের কাজ ৯০% শেষ হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হবে ।গঙ্গায় জাতীয় জলপথে হলদিয়া থেকে বারানী পর্যন্ত পণ্য পরিবহন এই জেটি ব্যবহার করা হবে।

এটি একটি জাতীয় প্রকল্প। হুগলি নদীর তীরে ৬১ জমির উপর তৈরি হয়েছে মাল্টিমোড টার্মিনাল ।জমি দিয়েছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। সিএফসিএল একটি কৃত্রিম তন্তু তৈরি বন্ধ কারখানা প্রকল্প গড়ে উঠেছিল। ১৫ বছর আগে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। সেই কারখানার লিজ চুক্তি শেষ হওয়ার পর জমি ফেরত পায় বন্দর। পড়ে থাকা জমি কাজে লাগাতে নতুন বিনিয়োগ করা হয়েছে। জল মার্গ বিকাশ প্রকল্পের অধীনে ইংল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (আইডব্লুএআই) এই টার্মিনাল গড়েছে। প্রকল্পের জন্য অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। এটি নামী বেসরকারি সংস্থা টার্মিনাল নির্মাণের কাজ করছে।আইডব্লুএআই সূত্রে জানা যায় হলদিয়া থেকে বারানসি পর্যন্ত গঙ্গা নদীর প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার নদীপথে (জাতীয় জলপথ ১) পণ্য পরিবহন চালু করার জন্য চার হাজার দুইশ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।


 এর জন্য হলদিয়া বারানসি বিহারের সাহেবগঞ্জ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি মালটিমোডাল টার্মিনাল তৈরি হয়েছে। হলদিয়া টার্মিনাল সব থেকে বড়। এছাড়াও প্রয়োজন মত আরও কয়েকটি ছোট টার্মিনাল তৈরি হবে। টার্মিনাল গুলিতে ছোট বন্দরের মত কাজ হবে ।টার্মিনালের জেটিতে নানা ধরনের সামগ্রী নিয়ে ভিড়বে পণ্যবাহী বাজ। এক একটি বাজের বহন ক্ষমতা হবে দেড় থেকে দুই হাজার টন।  বাজ চলাচলের সুবিধা জন্যে তৈরী হবে নদী পথের নাব্যতা নিয়মিত 2.5 - 3 মিটার রাখতে গঙ্গায় ড্রেজিং করা হবে। এই প্রকল্প রূপায়ণ হলদিয়া বন্দরের পশ্চাদভূমি উত্তর প্রদেশ, বিহার ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন বাড়বে, একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার প্রশাসন প্রভীন কুমার দাস বলেন মাল্টিমিডিয়া টার্মিনাল হলদিয়া বন্দরে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

হলদিয়া কলকাতা বন্দরের  বিশাল পশ্চাদভূমি সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ জলপথ কে কাজে লাগাতে জেটিও টার্মিনাল তৈরি হয়েছে ।একইসঙ্গে নেপাল ও বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়বে। সড়ক ও রেলপথে নেপালের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যানজট বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবহন ব্যয় ও সময় বেশি লাগছে। জলপথে পণ্য পরিবহন চালু হলে খরচ ও সময় দুই কমবে। নেপাল কাগের জন্য এই জলপথে  বিহারের সাহেবগঞ্জ টার্মিনাল তৈরি হছে।

হলদিয়া টার্মিনাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানকার জেটি গুলি থেকে কয়লা ভোজ্যতেল সিমের এবং সিমেন্টের শিল্পের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফ্লাই অ্যাশ চুনাপাথর আমদানি-রপ্তানি হবে। হলদিয়া থেকে বাজের মাধ্যমে এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ফ্লাই অ্যাশ রপ্তানি হচ্ছে। কোলাঘাট ও হলদিয়া এনার্জি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ছাই বা ফ্লাই অ্যাশ বাংলাদেশের সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতদিন

আইডব্লুএআই ছোট জেটি র মাধ্যমে রপ্তানি হতো। এবার বড় আকারে তৈরি হয়েছে ৩৫ লক্ষ টন ফ্লাই অ্যাশ রপ্তানি করতে টার্মিনালে স্টক পয়েন্ট বা সাইলো তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে এবার আসামের সঙ্গে হলদিয়া বন্দরের যোগাযোগ গড়তে এই জেটি কাজে লাগানো হবে।

No comments