Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দীর্ঘমেয়াদি লিজ নেওয়া স্টল গুলি মালিকদের না জানিয়ে অন্য সংস্থাকে হস্তান্তর করল হলদিয়া পৌরসভা

হলদিয়া সিটি সেন্টার পৌরসভা সোনার তরী মার্কেট কমপ্লেক্স একাধিক স্টলে চুক্তি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দ্বিতীয়বার নতুন যুক্তি করে অন্য সংস্থাকে বিলি করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।এমনকি স্টলে মালিকের অনুমতি ছাড়াই স্টলগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছ…

 










হলদিয়া সিটি সেন্টার পৌরসভা সোনার তরী মার্কেট কমপ্লেক্স একাধিক স্টলে চুক্তি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দ্বিতীয়বার নতুন যুক্তি করে অন্য সংস্থাকে বিলি করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

এমনকি স্টলে মালিকের অনুমতি ছাড়াই স্টলগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের অভিযোগ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে পৌরসভার কাছ থেকে স্টল কেনার পর পৌর কর্তৃপক্ষ সেই ট্রল গুলি অন্য সংস্থাকে হস্তান্তর করেছে ।এ ব্যাপারে তাদের কোনো খবর দেয়নি পৌরসভা। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বুধবার পৌরসভাকে চিঠি দিয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ ২০০৯ সালে মার্কেট কমপ্লেক্স দেওয়ার জন্য পৌরসভার বিজ্ঞাপন দেয়। ২০১২ সালে উদ্বোধন হয় প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে করে তিন তলা কমপ্লেক্স টি তৈরি হয়েছিল । চুক্তি অনুযায়ী টাকা মেটানোর পর ধীরে ধীরে স্টল মালিকরা পৌরসভার কাছ থেকে মালিকানা সংক্রান্ত পজেশান সার্টিফিকেট পান।

 পরিকাঠামোগত সমস্যা মিটিয়ে২০১৮ সাল নাগাদ পৌর কর্তৃপক্ষ মার্কেট কমপ্লেক্স চালু করার উদ্যোগ নেয়। স্টল মালিকদের অভিযোগ , লিজ চুক্তি পৌরসভার দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের লাইন সংযোগ দেয় নি। ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি কয়েকজন মালিক ব্যবসা শুরু করার উদ্যোগ নিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাদের স্টলগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। সুলতান আলী বলেন ৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা খরচ করে ওই মার্কেট কমপ্লেক্স জি১১ নম্বরে একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে পৌরসভা থেকে নিয়েছিলাম ।কিস্তিতে দীর্ঘদিন ধরে টাকা মেটানোর পর ২০১৮ সালে স্টলটি হাতে পাই। কিন্তু পরিকাঠামো ঠিক না থাকায় স্টল ডেকোরেশন করতে পারিনি। মাসখানেক আগেই তাদের কাজকর্ম করতে গিয়ে দেখি আমার সাটারের দরজা ভাঙা। আরো কয়েকটি স্টলের একই অবস্থা। খোঁজখবর জানতে পারি অন্য একটি সংস্থাকে ওই স্টল হস্তান্তর করা হয়েছে। তারাই কাজকর্ম করছে। সে জন্য পৌরসভাকে চিঠি দিয়েছি। হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাস বলেন কয়েকটি স্টল অন্য একটি সংস্থাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেগুলি ভেঙে নতুন করে তারা কাজ করছে। ওই সংস্থাকে দেওয়া আগে স্টল মালিকদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া যেসব স্টল মালিক স্টল নিয়ে বছরের পর বছর ফেলে রেখেছিলেন তাদের চিঠি দিয়েও কোনো উত্তর দেননি । ঐ স্টল গুলির পরিবর্তে মার্কেট কমপ্লেক্সে অন্যত্র স্টল দেওয়া হবে। অথবা টাকা ফেরত চাইলে তা  দিয়ে দেওয়া হবে।



No comments