Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়া বন্দরের বাণিজ্য চুক্তি নেপালের সঙ্গে

হলদিয়ার পণ্য পরিবহনে বৃদ্ধি পাওয়ার করোণা আবহের মধ্যে নেপালের সঙ্গে 22% বাণিজ্য বাড়লো হলদিয়া বন্দরের। এই খবর জানিয়েছেন হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। হলদিয়া থেকে নেপাল পর্যন্ত পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া। একসময় "নেপাল কার্গো&quo…

 





হলদিয়ার পণ্য পরিবহনে বৃদ্ধি পাওয়ার করোণা আবহের মধ্যে নেপালের সঙ্গে 22% বাণিজ্য বাড়লো হলদিয়া বন্দরের। এই খবর জানিয়েছেন হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। হলদিয়া থেকে নেপাল পর্যন্ত পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া। একসময় "নেপাল কার্গো" বন্ধ হয়েছিল  হলদিয়া বন্দরে আসা। হলদিয়ার সঙ্গে বিশাখাপত্তনম বন্দরের প্রতিযোগিতা শুরু হয় ।হলদিয়ার পণ্য চলে যেতে শুরু করে বিশাখাপত্তনমে।পণ্য পরিবহনের একাধিক ছাড়ের ব্যবস্থা ও কাস্টম চেকিং এর জন্য ইলেকট্রনিক্স কার্গো ট্রাকিং সিস্টেম এর মত নয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনা কালে হারানো নেপাল কার্গো ফেরালো হলদিয়া বন্দর। খরচ কমাতে এবার সড়ক ও রেলপথ এর পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ জলপথের হলদিয়া থেকে পণ্য পরিবহন করতে আগ্রহী নেপাল সরকার ।সম্প্রতি হলদিয়া বন্দরে কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় এই আগ্রহের কথা জানান। কলকাতা থেকে নেপাল কনসাল জেনারেল এসোর রাজ পাউডেল।

হলদিয়া বন্দর সূত্রে জানা গেছে কয়েক দশক ধরে নেপাল হলদিয়া কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি রপ্তানি করে তা "নেপাল কার্গো" হিসেবে পরিচিত। হলদিয়া কে বলা হয় নেপালের গেটওয়ে।

হলদিয়া বন্দর দিয়ে নেপাল কয়লা সহ কন্টেইনার কার্গো আমদানি করে চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে। এছাড়া ভারত থেকে যে পণ্য আমদানি করে তা হলদিয়া বন্দর হয়ে নেপালে যায়। কন্টেইনারে মাধ্যমে বিদেশ থেকে গাড়ি বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করে নেপাল। 

এজন্য হলদিয়া বন্দরে নেপাল কার্গো  জন্য আলাদা ইয়াড রয়েছে। বর্তমানে হলদিয়া বন্দর হয়ে নেপালের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে চীনের সাংহাই বন্দর থেকে হলদিয়া বন্দর পর্যন্ত যেখানে 22 দিন সময় লাগে ।সেখানে হলদিয়া কলকাতা বন্দর থেকে নেপালে বীরগঞ্জ পর্যন্ত মাত্র ৬৫০ কিলোমিটার রাস্তা যেতে সময় লেগে যায় ১১ দিন ।

সড়কপথে ব্যাপক যানজট ,সময়মতো রেলের রেক না মেলায় দিনদিন পণ্য পরিবহন খরচ বাড়ছে। এই সুযোগ নেয় বিশাখাপত্তনম বন্দর ।তারা বন্দর থেকে ১৩৫০ কিলোমিটার পথ কম সময়ে পণ্য পৌঁছে দিতে শুরু করে।

 এই বাণিজ্য যুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য হলদিয়া বন্দর পথ খুঁজতে শুরু করে। এর মধ্যে কূটনৈতিক কারণে চীন সীমান্ত সড়কপথে সরাসরি নেপাল পণ্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। সম্প্রতি চীনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ পরিস্থিতির সময় নেপাল কার্গো কমার আশঙ্কা দেখা দেয়।

বন্দরের একাধিক নেপাল কার্গো পরিবহনের খরচ কমাতে সড়ক ও রেল কার্গোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় দেয়। কন্টেইনার পণ্য পরিবহণ সংস্থা ও ট্যারিফে ছাড় দেয়।

 ভারত-নেপাল সীমান্ত পণ্য শুল্কপরীক্ষা সময় কমাতে নয়া প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেয় হলদিয়া ও কলকাতা বন্দর।এর জন্য বন্দরে কার্গো বাড়তে শুরু করেছে । হলদিয়া বন্দর এর জেনারেল ম্যানেজার ট্রাফিক অভয়কুমার মহাপাত্র বলেন, আশার খবর হলো নেপাল কার্গো এ বৎসর করোনার সময় 22 শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার প্রশাসন প্রভীন কুমার দাস বলেন হলদিয়া থেকে বারানসি পর্যন্ত গঙ্গা নদীতে যে জাতীয় জলপথ চালু হতে চলেছে, সেই পথে পণ্য পরিবহন করতে চায় নেপাল। এর ফলে সড়কপথে যানজট এড়িয়ে দ্রুত নেপাল পণ্য পৌঁছতে পারবে। কলকাতা হলদিয়া বন্দরেরর ভারতীয় মজদুর সংঘের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বিজলী বলেন, হলদিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক শুরু হয়েছে, ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী সাগর মালা প্রজেক্ট কে সামনে রেখে হলদিয়া বন্দর কে মডেল বন্দর করে সারা ভারতবর্ষে বন্দরের সঙ্গে কাজ করার জন্য । সম্প্রতি আইসিসি এক সভায় ঘোষণা করেছিলেন।হলদিয়া থেকে বারানসি প্রকল্প কেন্দ্র সরকারের সেজন্য হলদিয়া বন্দরের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারত সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি কে আমরা ধন্যবাদ জানাই।

No comments