মা মাটি মানুষের সরকারের প্রতিনিধি নন্দীগ্রামের বিধায়ক ভূমি আন্দোলনের কান্ডারী শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে জল্পনার অবসান হয়েছে তার মন্ত্রিত্ব এবং হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর। এবং গত বুধবার রাজ্যের নেত্রী মমত…
মা মাটি মানুষের সরকারের প্রতিনিধি নন্দীগ্রামের বিধায়ক ভূমি আন্দোলনের কান্ডারী শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে জল্পনার অবসান হয়েছে তার মন্ত্রিত্ব এবং হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর। এবং গত বুধবার রাজ্যের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে সে দলে নেই বলে একটি চিঠি দেওয়ার পর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের শহীদ পরিবারের ক্ষোভে ফেটে পড়লেন।
২০০৭ সালের ১৪ ই মার্চ ছেলে শেখ ইমাদুল কে নিহত হতে দেখেছিলেন তার বাবা শেখ দয়ান। তিনি বলেন আমি তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছি কিন্তু শুভেন্দু বাবু তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করলেন! শুভেন্দু বাবুর এই কাজটা ভাল চোখে দেখছিনা। শহীদ পরিবারেরএমন ক্ষোভ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ রঞ্জন দাস। তিনি বলেন নন্দীগ্রাম মানুষের সঙ্গে বেইমানী করেছে শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরের মাটিতে বহু মনীষীদের জন্ম হয়েছে ।আজ জানলাম বড় বিশ্বাসঘাতক এর জন্ম হয়েছিল। সে নন্দীগ্রামের মানুষের কথা না ভেবে পদত্যাগ করলেন।
প্রসঙ্গত বুধবার নন্দীগ্রামের লোকজন শুভেন্দুর ফ্লেক্সে জুতোর মালা পরিয়ে দেন ।তাতে জুতাপেটা করা হয়। ইয়াসিনের ছেলে শেখ শাহরুন বলেন ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে আমাদের পরিবারের কেউ ভোট দিতে যাবে না বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু শুভেন্দু বাবু ফোন করে বাবাসহ পরিবারের সবাইকে ভোট দিতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ।ভোট দিয়ে আসার পর আমার বাবাকে গুন্ডাবাহিনী ভোট দিতে যাওয়ার অপরাধে গুলি দিয়ে খুন করে আর সেই শুভেন্দু বাবু তৃণমূল ছেড়ে দিলেন? নন্দীগ্রামের শহীদ পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। কারোর কথা শুনে আমাদের মত কারোর বাবাকে যেন আর হারাতে না হয়।
No comments