পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশকুড়া এক নম্বর চক্রের নারান্দা নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শ্রীমতি দুর্গারানী দে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শিশু দিবস উদযাপন করেন।বিদ্যালয় সম্মুখস্থ পাঁশকুড়া ব্রাডলি বা…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশকুড়া এক নম্বর চক্রের নারান্দা নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শ্রীমতি দুর্গারানী দে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শিশু দিবস উদযাপন করেন।বিদ্যালয় সম্মুখস্থ পাঁশকুড়া ব্রাডলি বার্ট হাই স্কুলের মাঠে অভিভাবক অভিভাবিকা দেরকে ডাকিয়া তাদের মধ্যে শিশুদের জন্য পুনরায় মশারি নেহেরুর ছবি প্রদান করেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল অবহিত করেন ও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নির্দেশনা প্রদান করেন। বিদ্যালয় সম্মুখস্থ হাই স্কুল মাঠে বিদ্যালয় পরিবেশ এর সংলগ্ন শিশুরা খেলা করছিল। তাদের সঙ্গে তিনি মহানন্দে মিলিত হন সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে। এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পন্ডিত নেহেরুর ছবি প্রদান করেন ও তাদের আজকের দিনের তাৎপর্য, শিশু দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন ও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপর তিনি ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ও তাদের খবর নেয়ার জন্য তাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাদের মধ্যে ও কিছু অভিভাবক অভিভাবিকা দের মধ্যে শিশুদের জন্য নেহেরুর ছবি স্যানিটাইজার ও মশারি প্রদান করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের গৃহ পরিবেশের বিভিন্ন স্থানে আজকের দিনের তাৎপর্য,স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর জন্ম দিবস ও শিশু দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন এবং তাদের মধ্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নির্দেশনা দান করেন ও ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল অবহিত করান। বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু কিছু ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা জ্বর সর্দি হাঁচি কাশিতে আক্রান্ত হয়েছেন, ডাক্তার ও দেখিয়েছেন। তাদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য, তাদের সংবাদ নেওয়ার জন্য শিক্ষিকা করোনা পরিস্থিতির আশঙ্কা উপেক্ষা করে শিশুদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য ও সকলের মধ্যে মনোবল বাড়ানোর জন্য এবং আনন্দ প্রদানের জন্য তাদের মধ্যে এলাকাতে বিভিন্ন স্থানে ছুটে যান।
শিশুদের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য শিক্ষিকা তার চাকুরী জীবনের প্রথম লগ্ন হতেই সুকঠিন শ্রমে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের সমস্ত রকম কর্মসূচি নিয়ে নিজের জীবনের প্রতিটি মূল্যবান মুহূর্তকে বিরামহীন ক্লান্তিহীনভাবে উৎসর্গ করে আসছেন। শিশুদের বাসযোগ্য পরিবেশ রচনা জন্য যেমন তিনি শিশুদের জন্য সুন্দর পথঘাটের জন্য কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে সরকারি দপ্তরে আবেদন করেছেন, সে রকমই বিদ্যালয় বহির্ভূত সময়ে ও ছুটির দিনে শিশুদের জন্য ও শিশুদের গৃহপরিবেশ উন্নীত করণের জন্য জনস্বাস্থ্যের কর্মসূচি রূপায়ণে প্রতিটি মুহূর্তকে ব্যয় করে আসছেন। একদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে বিনামূল্যে শৌচাগার নির্মাণের কর্মসূচির জন্য দপ্তরে দপ্তরে বিদ্যালয় বহির্ভূত সময়ে ক্লান্তিহীনভাবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে আবেদন ও রূপায়নের জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা, অন্যদিকে রক্তাল্পতা ও কৃমি রোধ, ডেঙ্গু নিবারণ, মাদক বিরোধী অভিযান, সাবান দিয়ে সঠিক ভাবে হাত ধোয়ার পদ্ধতি শেখানো, বিশুদ্ধ পানীয় জলের উপযুক্ত ব্যবহার জল সংরক্ষণ প্লাস্টিক বর্জন ও প্লাস্টিকের বিশেষভাবে নিরাপদ পুনর্ব্যবহার, মশক নিধন কর্মসূচি, ড্রপ আউট নিবারণ, বালিকা বিবাহ রোধ, শিশুদের সঙ্গে মায়েদের সূস্বাস্থ্য, সকলের জন্য ব্যাংক বই খোলা, গৃহ পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার বিশেষ নির্দেশনা দান,মা ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিবেকানন্দ পুস্তক, লেবু চারা, মশারি প্রদান প্রদান ইত্যাদি বিভিন্ন অগণিত কর্মসূচি নিয়ে নিরন্তর নিজেকে মানব সেবায় উৎসর্গ করে চলেছেন। শিশুদের আনন্দের জন্য বিদ্যালয় পরিবেশে শিক্ষা দপ্তর নির্ধারিত অনুষ্ঠান ছাড়াও আরো অগণিত অনুষ্ঠান তাৎক্ষণিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আনন্দদায়ক সজ্জার মাধ্যমে আয়োজন করে চলেছেন বিরামহীনভাবে। শিশুদের জীবনের প্রতিটি পথকে সুন্দর ও মসৃণ করার জন্য তিনি প্রতিটি পদক্ষেপে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে চলেছেন সমস্ত শিক্ষক জীবন ধরে 35 বছরের অধিক সময় ব্যাপী, নিজে বিদ্যালয় পরিবেশে, সংশ্লিষ্ট সমাজে ও বৃহত্তর সমাজে, দেশে। নিজে বিদ্যালয়পরিবেশে বিদ্যালয়ের জন্য যেমন বিদ্যার্থীদের পরিচ্ছন্নভাবে বিদ্যালয়ে থাকার জন্য ও পানীয় জলের জন্য দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে নিজে হতেই বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আনন্দদায়ক পরিবেশ রচনা অক্লান্তভাবে নিয়োজিত আছেন। বিভিন্ন মেধার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্নভাবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। একদিকে নিজ হতে মেধা পরীক্ষা, মূল্যায়ন ও প্রারম্ভিক মূল্যায়ন এবং তার সংশোধনী পাঠ এজন্য দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তার প্রতিটি সময় দিয়ে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক দের অনুপ্রেরণা ও আনন্দ দেয়ার জন্য পত্রগুলি কে ছাপিয়ে নিয়েছেন। সেরকমই বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে সুদীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে ছুটির দিন এবং দীর্ঘ অবকাশে পাঠদান করেছেন । বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ও মারণ রোগ উপেক্ষা করে শিক্ষিকা তার শিক্ষকতা জীবনে ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক সর্বাঙ্গীণ বিকাশের জন্য তাদের গৃহ পরিবেশে ছুটে গেছেন তাদের পাঠ দান, সংশোধনী নির্দেশনা ও মনোবল বাড়ানোর জন্য।
শিশুদের প্রতিটি পথকে সুন্দর করার জন্য, তিনি অন্য সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও কম্পিউটার কেনার জন্য বৃহৎ মূল্যের অর্থ, নিকট পরিবেশের হাইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পানীয় জলের ট্যাঙ্ক, হোস্টেল পরিবেশে জলের পাইপ ও কল বসানোর জন্য বৃহৎ পরিমাণ অর্থ, দুস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রতিটি বৎসর পুস্তক প্রদান, দরিদ্র মেডিকেলের ছাত্রের জন্য পুস্তক কেনার জন্য অর্থ প্রদান, বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রী র উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য নিজে বৃহৎ পরিমাণ অর্থ প্রদান ছাড়াও অন্য কেউ এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানান।
ছাত্র-ছাত্রীদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ এর জন্য খেলার মাঠ গুলির সৌন্দর্যায়নে তিনি অক্লান্তভাবে মাঠ পরিষ্কার ,বিভিন্ন সময়ে ট্রফি প্রদান ও আরো বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়োজিত আছেন এবং সকলকে ওই কাজই আগে আসার জন্য আন্তরিকভাবে ব্রতী আছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের পরবর্তী পথকে সুগম করার জন্য তিনি কিছু কিছু প্রদানেরও সূচনা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষা দপ্তর হইতে শিক্ষারত্ন সম্মাননার উপহার হিসেবে প্রাপ্ত পূর্ণ অর্থকে তিনি তার বিদ্যালয় এলাকার হাই স্কুল ব্রাডলি বার্ট হাই স্কুল কে প্রদান করেছেন, যা হতে প্রতি বৎসর ওই বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিজ্ঞান বিষয়ে শ্রেষ্ঠ ছাত্রকে স্বর্ণপদক "শিক্ষারত্ন দুর্গা রানী দে গোল্ড মেডেল" এবং "শিক্ষারত্ন দুর্গা রানী বেস্ট স্টুডেন্ট অ্যাওয়ার্ড" প্রদান করা হয়।শিক্ষকতার জীবনের প্রথম লগ্ন হতেই নিজ ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও উচ্চস্তরের শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলিকে দূর করার জন্য পুস্তক প্রদান ছাড়াও আন্তরিক ও বলিষ্ঠভাবে তিনি বিভিন্ন বৃত্তি প্রদান করে চলেছেন এবং আবেদন করে চলেছেন যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা লাভের প্রতিটি পথ সুগম ও মসৃণ হয়।
এছাড়া তার হাই স্কুল স্তরের ড্রপ আউট ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা লাভের জন্য বিদ্যালয় বহির্ভূত সময়ে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দিয়ে অক্লান্ত সুকঠিন পরিশ্রমে তার আগের কর্মক্ষেত্রে রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় এর মঞ্জুরি করন, শিক্ষক নিয়োগ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিকভাবে বিদ্যালয় শিক্ষা লাভের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।।
সারা জীবন ধরেই শিশুদের জন্য, সন্তান সম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষিকা শিক্ষকতা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে ব্যয় করে আনন্দদায়ক পরিবেশ রচনায়, আনন্দদায়ক সজ্জায় এবং আনন্দ পাঠদানে নিজেকে উৎসর্গ করে চলেছেন। শিক্ষকতা শুধু তার জীবনের সেবা নয়,পূজা। বিদ্যালয় তার জীবন, বিদ্যালয় জীবনের প্রতিটি স্পন্দন।। শিশুরা তার বেঁচে থাকার আনন্দ, শিশুরাই তার জীবনের প্রতিটি শ্বাস।। তাই বর্তমান কোভিড-19 এর মহামারী জনিত লকডাউন পরিস্থিতিতে নিজের জীবন ও সাচ্ছন্দ উপেক্ষা করে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক অভিভাবিকা পাশে নিরন্তর নিজেকে অক্লান্তভাবে নিয়োজিত রেখেছেন। তার বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিশুর অভিভাবক দারিদ্রসীমা এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী। তাই তারা যাতে কোনরকম অস্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে দিন না কাটান সেজন্য শিক্ষিকা তাদের জন্য নিজেকে প্রতিটি মুহূর্ত দিয়ে উৎসর্গ করেছেন। অগণিত অভিভাবক অভিভাবিকার আন্তরিক শুভ কামনা ও আশীর্বাদ শিক্ষিকার উপর বর্ষিত হতে থাকে। শিশু ও তার গৃহ পরিবেশের আনন্দ সুখ স্বাচ্ছন্দ এবং সুস্বাস্থ্য শিক্ষিকার বেঁচে থাকার রসদ। প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে গভীর তৃপ্তি র সঙ্গে শিক্ষিকা তার সন্তান সম ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ এর জন্য আন্তরিকভাবে প্রতিটি মুহূর্তকে ব্যয় করে সব রকম অবস্থার মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের এলাকার সংক্রামক রোগ ব্যাধি, নিজের জীবনের গভীর শোক সব রকম উপেক্ষা করে ছাত্র-ছাত্রীদের এলাকায় ছুটে গেছেন ও নিজ জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দিয়ে নিজেকে শিশুদের পূজায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
No comments