ভারতের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মদিবসে বিশেষ কমসুচি শিক্ষিকা দুর্গারানী

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া এক নম্বর চক্রের নারান্দা নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষা দপ্তরের শিক্ষারত্ন সম্মাননাপ্রাপ্ত ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শ্রীমতি দুর্গারানী দে বিভিন্ন …

 

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া এক নম্বর চক্রের নারান্দা নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষা দপ্তরের শিক্ষারত্ন সম্মাননাপ্রাপ্ত ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শ্রীমতি দুর্গারানী দে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শিক্ষা দিবস 2020, স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মদিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় ও তাৎপর্যে উদযাপন করেন। নিজ বিদ্যালয় সম্মুখস্থ প্রাঙ্গণে পাঁশকুড়া বাটলি বার্ট হাই স্কুল মাঠে , বিদ্যালয়ের সম্মুখভাগে অভিভাবক অভিভাবিকা দের লইয়া স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেন। তারপর শিক্ষা বিষয়ক সেমিনারে শিক্ষাবিদ শিক্ষিকা  বর্তমান কোভিদ পরিস্থিতিতে  সন্তানসম স্নেহের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষামূলক নির্দেশনা দেন। বাড়িতেই পিতা-মাতারা কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন উপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী হইতে বাংলা ইংরেজী গণিত ও পরিবেশের আনন্দদায়ক ভাবে  স্হায়ী শিখনের পাঠ দেবেন, তা তিনি অতি সহজ ভাবে অভিভাবক অভিভাবিকা দের নির্দেশনা দেন। এরপর তিনি বর্তমান শিক্ষা বর্ষের অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এবং শিক্ষিকার অন্যান্য মূল্যায়নের ফলাফল অভিভাবকদের অবহিত করেন, যাহাতে সকলে শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবক অভিভাবিকা আনন্দদায়ক ভাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে নিবিড় ভাবে যুক্ত থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রেখে দিন অতিবাহিত করতে পারেন। এরপর তিনি ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য, রক্তাল্পতা রোধ, ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং ঘুমানোর সময়ে সঠিকভাবে মশারী টাঙ্গানোর  বিষয়ে নির্দেশনা দেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন এবং সাপের দংশনের শিকার না হন। দেশের জাতীয় শিক্ষা দিবসের দিন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মূলক নির্দেশনা ও আলোচনার পর অভিভাবিকা দের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্বাধীন দেশের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের ছবি ও মশারি প্রদান করেন। বর্তমান কোভিদ পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধাপে ধাপে অভিভাবক অভিভাবিকা দের  নির্দেশনা দেন।

এরপর শিক্ষিকা ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, দিল্লির বিজ্ঞান প্রসারের সৃজনশীল গণিত শিক্ষা দানের জাতীয় ওয়েবিনারে সহজ টি এল এম নিয়ে গণিতের ত্রিভুজ এবং  চতুর্ভুজ বিষয়ে আনন্দদায়ক স্থায়ী জ্যামিতি শিখনের নিজ পাঠদানের পদ্ধতি আনন্দদায়ক ভাবে উপস্থাপন করেন। এছাড়া অনলাইনে শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আনন্দদায়ক ভাবে আজকের দিবসের তাৎপর্য উপস্থাপন করেন। বিরামহীন ক্লান্তিহীন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে 35 বছরেরও দেশি শিক্ষক জীবনের শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা সহ গভীর তৃপ্তির মধ্যে জাতীয় শিক্ষা দিবস 2020 সন্তান সম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্দেশনা দান এবং  নিজ শিক্ষণ  পদ্ধতি জাতীয় জাতীয় ওয়েবিনারের মাধ্যমে আপন দেশে আনন্দদায়ক ভাবে গণিত শিক্ষণ আনন্দময়  সহজ পরিবেশনার মাধ্যমে জ্যামিতির প্রাথমিক স্তরের কঠিন বিষয়গুলি সম্পর্কে অতি সহজ ভাবে পাঠদানের  আনন্দময় সহজ বার্তা প্রেরণ করতে পেরে গভীর তৃপ্তি অনুভব করেন। উল্লেখ্য শিক্ষিকা নিজে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গণিতের বিভিন্ন বিষয়গুলি সহজ সৃজনশীল ছড়া এবং বিনা খরচে প্রস্তুত দৈনন্দিন জীবন হতে লওয়া টি এল এম এর মাধ্যমে পরিবেশন করেন। এজন্য তিনি সময়ের ধারণার জন্য ২৪ ঘন্টার ঘড়ি তৈরি করে  এএম, পি এমের সঠিক ধারণা সহ অতি সহজে আনন্দদায়ক ভাবে নিজ ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও  বৃহত্তর ও পরিবেশের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেন। গণিত বিজ্ঞান এবং ইংরেজি শিক্ষণ শিখনের প্রাথমিকের দুরূহ  বিষয়গুলির আনন্দদায়ক ভাবে বিভিন্ন ছড়া চিত্র ও ও সারণী মাধ্যমে পরিবেশন করেন, ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়াতে দেশ-বিদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ; জাতীয় শিক্ষা দিবসের দিনে যে কাজগুলির উল্লেখ করতেই হয়। এছাড়া মূল্যবোধ যুক্ত মানুষ তৈরীর জন্য নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী অভিভাবিকা ছাড়াও কর্মক্ষেত্রের বৃহত্তর পরিবেশে সুদীর্ঘ কয়েক বছর ব্যাপী বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিবেকানন্দ পুস্তক ও অন্যান্য পুস্তক প্রদান করেন। নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত পাঠের জন্য বিবেকানন্দ লাইব্রেরী গঠন করেছেন, এবং অন্য বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর জন্য বিবেকানন্দ  প্রদান করেছেন। শিক্ষিকার সুদীর্ঘ সমগ্র শিক্ষক জীবন এইরূপ মানব কল্যাণের শিক্ষা স্বাস্থ্য জনস্বাস্থ্য ও আনন্দময়পরিবেশ  সৃজনের বিভিন্ন  অগণিত কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষকতা জীবন অতিবাহিত হয়ে চলেছে।