পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া এক নম্বর চক্রের নারান্দা নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষারত্ন এবং ভারত সরকার, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সম্মাননা প্রাপ্ত শিক্ষিকা দুর্গারানী দে। নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্র…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া এক নম্বর চক্রের নারান্দা নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষারত্ন এবং ভারত সরকার, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সম্মাননা প্রাপ্ত শিক্ষিকা দুর্গারানী দে। নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবার পিছু একটি বা দুটি করে মশারি প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আজ চতুর্থ দিনের কর্মসূচিতে দু'ঘণ্টার অধিক সময় ধরে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে দফায় দফায় আগত অভিভাবক অভিভাবিকা দের ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোধের উদ্দেশ্য নিয়ে মশারি গুলি প্রদানের কাজ আসন্ন শারদীয়া উৎসব এর আগে প্রায় সম্পূর্ন করেন।। তাঁর বিদ্যালয় পুরোপুরিভাবে মাইনোরিটি অধ্যুষিত, দুস্হ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী এলাকা এলাকা। মশারি প্রদান ছাড়াও দুস্হ বিধবা কর্মহীন অভিভাবিকা দের মধ্যেও অর্থপ্রদান করেন। এনাদের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে বা এলাকায় কাজের জন্য শিক্ষিকা অনেককে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু বর্তমান লকডাউন কোভিদ-19 পরিস্থিতিতে তাঁরা সরকারি রেশন ও কন্যার বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল প্রকল্পে প্রাপ্ত সরকারি দ্রব্যের উপর নির্ভর করে অতিশয় কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছেন।
শিক্ষিকা তাঁর শিক্ষার সঙ্গে সকলের জন্য স্বাস্থের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের সঙ্গে নিবিড় ভাবে যুক্ত আছেন। আজও শিক্ষামূলক নির্দেশনার সঙ্গে মশারি প্রদানের পর মশারি প্রদান করার পর প্রতিটি ধাপে সতর্কভাবে মশারি কে খাটানোর জন্য অভিভাবক অভিভাবিকা দের নির্দেশনা প্রদান করেন, যাহাতে মশা এবং সর্পজনিত কোন রকম দুর্ঘটনা না ঘটে। এছাড়া শিক্ষিকা চপট সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার জন্য পুনরায় সতর্কভাবে নির্দেশনা প্রদান করেন, যাহাতে কেউ কোভিদ-19 আক্রান্ত না হয়। অভিভাবকদের নিয়মিত নির্দেশনা দান ছাড়াও শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বাড়িতে গিয়ে পড়াশোনা দেখভাল করার জন্য কিছু দিন যাওয়া ছাড়াও বাস্তব শিখন সামগ্রী দিয়ে আনন্দদায়ক ভাবে শিখন প্রদান করেন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিতভাবে; অনলাইনে, ইউটিউব ,ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ,ভয়েস কল, ভিডিও, ফোনকল এবং টিভিতে পাঠদান ইত্যাদি আন্তর্জালের টুলস্এর মধ্য দিয়ে।বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেও শিক্ষিকা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে একাকী নিজ শরীরের যত্ন ও বিশ্রাম কে উপেক্ষা করে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের পরিবারের এলাকার সকলের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলেছেন বিভিন্নভাবে, যাহাতে কেউ উপবাস বা কোনরকম কষ্টের মধ্যে না পড়েন, যাতে সকলেই সুস্থ থাকেন। তাই কোভিদ সংক্রমনের আশংকা কে উপেক্ষা করে তার শিক্ষকতা জীবনের শেষ লগ্নেও শিক্ষিকা অসীম যত্নেও মমতায় আন্তরিকভাবে সমানুভূতি নিয়ে প্রাণাধিক প্রিয় সন্তান সম ছাত্র-ছাত্রীদের এবং তাদের অভিভাবকদেরও পরিবারের সকলের সঙ্গে নিবিড় ভাবে যুক্ত আছেন। এজন্য তাদের ভালো থাকার জন্য অর্থ প্রদান করা ছাড়াও সাবান, মাস্ক, স্যানিটাইজার প্রভৃতি নিয়মিত প্রদান করে তাদের সঙ্গে আছেন। যাতে কেউ কোভিদ আক্রান্ত হয়ে পড়ে সেই জন্য নিয়মিত ভাবে সাবান প্রদান করা ছাড়াও অভিভাবকদের এলাকায় গিয়ে এবং বিদ্যালয় সঠিকভাবে হাত ধোয়ার কৌশল গুলি নিয়মিতভাবে প্রদর্শন করেন, সেই সঙ্গে নিয়মিতভাবে ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে অভিভাবকদের হাতগুলিও পরীক্ষা করেন, যাতে সকলের হাত পরিষ্কার রাখার অভ্যাস গুলো চিরস্থায়ী ভাবে গড়ে ওঠে এবং তার মাধ্যমে সকলেই কভিদ- 19,ও ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া ছাড়াও কৃমি ও অ্যানিমিয়াতে, ছাত্র-ছাত্রী ও তার পরিবার সকলে আক্রান্ত হয়ে না পড়েন; যাতে সকলেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে পারেন। কারণ সুস্বাস্থ্য সুশিক্ষা সুআচরণ এর মূলভিত। তাই সকলের সুস্বাস্থ্যের জন্য শিক্ষিকা, তাঁর শিক্ষকতা জীবনে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের সঙ্গে নিবিড় ভাবে যুক্ত আছেন সকল কর্ম ক্ষেত্রে।। তার বিদ্যালয় সম্মুখস্থ পাঁশকুড়া বা
ব্রাডলি বার্ট হাই স্কুলের হোস্টেলের খেলার মাঠে সম্মুখস্থ প্রাঙ্গণে প্রচন্ড রোদে রং মাঠে স্থানীয় এলাকার করা প্যান্ডেলের ছাউনির মধ্যে মশরীগুলো প্রদান করেন। আজকে আমন্ত্রিত অতিথি পাঁশকুড়া ব্র্যাডলি হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী সাধন চন্দ্র ঘোষ নিজ কর্ম সারিয়া অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর তার হোস্টেল মাঠে এসে উপস্থিত হন। শিক্ষিকা তার কর্মসূচীগুলি রূপায়ণে এলাকাবাসীর সকলের সহযোগিতার জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
No comments