পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার নিলকুণ্ঠ্যা ৫ নম্বর অঞ্চলের টুল্যা গ্রামের আনন্দমোহন সাহুর পুকুর থেকে এদিন মিললো পাথরের তৈরি শীতলা মাতার মূর্তি। হঠাৎ এই মূর্তির আবির্ভাব সকলের আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবাক হওয়া হাজার হাজার ম…
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার নিলকুণ্ঠ্যা ৫ নম্বর অঞ্চলের টুল্যা গ্রামের আনন্দমোহন সাহুর পুকুর থেকে এদিন মিললো পাথরের তৈরি শীতলা মাতার মূর্তি। হঠাৎ এই মূর্তির আবির্ভাব সকলের আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবাক হওয়া হাজার হাজার মানুষ মূর্তি দর্শনের জন্য আনন্দ বাবুর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন কাতারে কাতারে। সাতসকালেই প্রচার হয়ে যায় গ্রামের পুকুরে পাথরের মূর্তি নাকি ভাসছে! আর তখন যাতীয় সোশ্যাল ডিসটেন্স ভুলে সেই ভাসমান পাথরের মূর্তি দেখতে ভিড় জমে যায় গ্রামবাসীদের। টুল্যা গ্রামের আনন্দমোহন সাহু বাড়ির পাশেই একটি পুকুরে এদিন সাতসকালের ঘটনা। স্বাভাবিকভাবে ধর্মভীরু মানুষজন ছুটতে থাকেন দেবী দর্শনে।
ঘটনায় প্রকাশ, এদিন সকালে আনন্দমোহন বাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখতে পান পুকুরের জলে পাথরের কোনো এক অজানা বস্তু ভাসছে। দেখতে পেয়ে পাথরের বস্তুটিকে আনন্দমোহনবাবু নিজের তুলসী মন্দিরে তুলে এনে যত্ন করে রাখেন। আর সেই পাথরের বস্তুটিকে কোনো দেবদেবীর মূর্তি হিসেবে অলৌকিক ঘটনার দৃশ্য মনে করে সোশ্যাল ডিসটেন্স ভুলে এবং মুখে মাস্ক না পরেই ওই মূর্তিটিকে দেখতে ভিড় করেন আশপাশের রসিকপুর, রাজহাটি, হরিদাসপুর, অনন্তপুর সহ আরো চার পাঁচটি গ্রামের উৎসাহী মানুষজন।
শুধুই পাথরের মূর্তিটিকে দেখা নয়, প্রাপ্তিযোগ হিসেবে প্রণামীও পড়ছে মূর্তির সামনে রাখা রেকাবিতে। গ্রামবাসীদের ধারণা যে, ঠাকুর স্বয়ং এই কোরোনা মহামারীতে সশরীরে উপস্থিত থেকে দেখা দিয়েছেন লোকজনকে! আর ঠাকুরের অসীম দয়া ছাড়া পাথরের কোন বস্তু ভাসতে কি দেখা যায়! ঘটনার খবর পেয়েই দেখতে গিয়েছিলেন আকাশ মাইতি ও অমল মাইতি। তাঁরা জানান, বিষয়টি নিয়ে মানুষের চরম উন্মাদনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় শিক্ষক স্বপন কুমার বর্মন জানান, এটি একটি অলৌকিক ঘটনা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে দেবীর আবির্ভাব নিশ্চিত ভালো কিছু বার্তা নিয়ে আসছে এলাকার মানুষের জন্য। এই মুহূর্তে নাকি দর্শন করলে পূণ্যলাভ হবে, এমনই ধারণা গ্রামবাসীদের। অনেক গ্রামবাসীদের অভিমত যে, যেহেতু এখানে ঠাকুরের মূর্তি উঠেছে, তাই এখানে বড় মন্দির করতে হবে। গ্রামে আরাধ্যা দেবী হিসেবে পুজো করার পরিকল্পনা এই নব উত্থিত দেবী মূর্তিকে ঘিরেই শুরু হয়েছে জোরকদমে।
No comments