পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার হকারদের জন্য এককালীন ২০০০ ( দুহাজার) টাকা শারদোৎসব অনুদান প্রদানের ঘোষণা করেছেন। রাজ্য সরকারের কাছে না-কি ৮১,০০০ হকারের তালিকা রয়েছে। শুধু কোলকাতা মহানগরীতেই প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার নথিভূক্ত হকার রয়েছেন। ৮১,০…
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার হকারদের জন্য এককালীন ২০০০ ( দুহাজার) টাকা শারদোৎসব অনুদান প্রদানের ঘোষণা করেছেন। রাজ্য সরকারের কাছে না-কি ৮১,০০০ হকারের তালিকা রয়েছে। শুধু কোলকাতা মহানগরীতেই প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার নথিভূক্ত হকার রয়েছেন। ৮১,০০০ জন হকারকে সরকারীভাবে ২০০০ টাকা করে পূজা অনুদান দিলে খোদ কোলকাতার অনেক হকার পুজা অনুদান থেকে বঞ্চিত হবেন।বাকি জেলা সমূহের লক্ষ লক্ষ হকারদের কি অপরাধ? তাঁরাই বা পুজা অনুদান থেকে কেন বঞ্চিত হবেন? তাছাড়া হকারদের পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে হস্তশিল্প, কুটীরশিল্প, তাঁতশিল্প, ফুটপাতের অতি ক্ষুদ্র ব্যবসা ও দোকানের সাথে যুক্ত লক্ষ লক্ষ হকার ও সাধারণ মানুষেরা কেন জনপ্রতি ২০০০ টাকা করে সরকারী পুজা অনুদান থেকে বাদ পড়বেন। একযাত্রায় পৃথক ফল নিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রশ্ন উঠেছে। হকারদের অনুদান প্রদান অাসলে প্রচার সর্বস্ব ভোট কুড়ানোর কর্মসূচি বলে সব মহলে ক্ষোভ জমছে। বেকারদের কর্মসংস্থান ও উৎপাদন মূলক পরিকল্পনার পরিবর্তে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি রাজ্য সরকারের অর্থনীতি কে দেউলিয়া করে দিয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার সমানতালে ঋণ করেই চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য সরকারী সম্পদ বিক্রি করতে বেশী তৎপর।সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব ও জেলাশাসক কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে রাজ্যের সমস্ত জেলার হকার,হস্তশিল্পী,ফুটপাতের অতি ক্ষুদ্র দোকানদার সহ সর্বস্তরের কর্মহীন মানুষজন কে ২০০০ টাকা করে পুজা অনুদান প্রদান করার দাবী জানিয়েছেন। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন বলেন শুধু কোলকাতা মহানগরীর একটা অংশের হকারদের পুজোর অনুদান প্রদান নয় জেলার সর্বস্তরের হকারদের পুজা অনুদান প্রদান না করলে রাজ্য সরকারের মেকী হকার প্রেমের মুখোশ খুলে পড়বে। একযাত্রায় ভিন্ন ভিন্ন হকারদের ভিন্ন ভিন্ন ফল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন। নজরদারি ও প্রচার সর্বস্ব কর্মসূচি র পরিবর্তে রাজ ও রাজ্যের মানুষকে রক্ষা করার গঠনমূলক কর্মসূচী রূপায়ণের দাবী জানান সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন।
No comments