ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/P-TDLTgQ8wQদেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ রাজ্যেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।একের পর এক ট্রেনে-বাসে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন।আক্রান্তের সংখ্যার অধিকাংশই বাইরের রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক।বিশেষ করে…
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/P-TDLTgQ8wQ
দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ রাজ্যেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।একের পর এক ট্রেনে-বাসে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন।আক্রান্তের সংখ্যার অধিকাংশই বাইরের রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক।বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লি থেকে রাজ্যে ফেরা শ্রমিকদের দেহেই পাওয়া গিয়েছে করোনার জীবাণু ।নতুন করে বহু জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। সামনে দুর্গা উৎসবের পরে প্রতি মহামারী হতে পারে। তার জন্যইএমতাবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া বিধানসভা এলাকার করোনা রোগীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় তাদের চিকিৎসার জন্য চালু হলদিয়া শহরের প্রথম করোনা হাসপাতাল।
পুজোর পরেই 50% কোভিড বেড বাড়ানো হচ্ছে। তবে কোভিড হাসপাতাল গুলিতে নয়। সাধারণ হাসপাতালেইযেমন পাঁশকুড়া, নন্দীগ্রাম, এগরা সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতলে এবং হলদিয়া মহাকুমার হাসপাতাল এবার থেকে একটি করে ফ্লোরে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে।ঐ পাঁচ হাসপাতালে মোট 200 টি কোভিড বেড তৈরি করা হচ্ছে ।একই সঙ্গে কোলাঘাট সেফহোম চালু করা হচ্ছে। বড়মা মাল্টিপেশালিটি হাসপাতালে দশটি বেডের সিসিইউ চালু হচ্ছে ।
বাড়ানো হচ্ছে আরো চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা। প্রয়োজনে সরঞ্জাম বাড়ানো হবে ।সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্যে চালু করার জন্য পূর্ব মেদিনীপুর ও নন্দীগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই মুহূর্তে মোট তিনটি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে সেগুলি হল বড়মা মাল্টিপেশালিটি হাসপাতাল, চন্ডিপুর মাল্টিপেশালিটি হাসপাতাল, এবং কাঁথি আরসি এন সঞ্জীবন হাসপাতাল।ঐ গূলিতে বেড সংখ্যা রয়েছে মোট ,৩৭০ ওই হাসপাতালগুলিতে আর বেড বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই এবার সাধারন পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রতিটি হাসপাতলে একটি করে ফ্লোর নেওয়া হয়েছে। এগরা সুপার স্পেশালিস্ট ,পাঁশকুড়া স্পেশালিস্ট এবং হলদিয়া মহাকুমার হাসপাতাল মোট দেড়শ বেড শুধুমাত্র করণা আক্রান্তদের জন্য রেডি রাখা হচ্ছে ।
এছাড়া কাঁথি মহাকুমার হাসপাতালে চৌদ্দটি এবং নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতলে 50 টি বেড প্রস্তুত থাকছে।
নবান্নের নির্দেশ সন্ধ্যায় জেলা শাসক পার্থ ঘোষ দুই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। পুজোয় মাতামাতি জেরে করোণ সুনামীর আশঙ্কা রয়েছে।
আগামী এক মাসের মধ্যে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন নবান্ন ।যার জেরে তমলুক জেলা হাসপাতাল বাদে পূর্ব মেদিনীপুরে বাকি পাঁচটি বড় হাসপাতালে কোভিড আক্রান্তদের জন্য 200বেড প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
জেলাশাসক বলেন এখন আক্রান্তদের জন্য যে পরিমান আছে তা 50 শতাংশ বেড বাড়ানো হচ্ছে। সেফ হোমের বেডের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ রয়েছে ।সেজন্য এগরা এবং কোলাঘাটে দূটি সেফ হোম খোলা হচ্ছে ।
এগরা সেফ হোমে এখনো রোগী ভর্তি শুরু হয়নি। কিন্তু পরিকাঠামো কাজ শেষ।
কোলাঘাটে সেফহোম করার জন্য একটি ভবন দেখা হয়েছে। দুটি জায়গা অন্তত আড়াইশো বেড রেডি রাখা হচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর সিএম ও এইচ নিতাই চরণ মণ্ডল বলেন এগরা হলদিয়া এবং পাঁশকুড়া হাসপাতলে একটি করে ফ্লোরে 120 থেকে 150 টি বেড করোনা পজেটিভ দের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। লেভেল থ্রি হিসেবে ওই তিন হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে।
No comments