পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার মাদ্রাসা শিক্ষা র প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে চলেছেন। ২০১১ সালে তথাকথিত মা-মাটি-মানুষের সরকার রাজ্যে ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে সর্বস্তরের শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের মধ্য থেকে বাছাই করে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রতিবছ…
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার মাদ্রাসা শিক্ষা র প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে চলেছেন। ২০১১ সালে তথাকথিত মা-মাটি-মানুষের সরকার রাজ্যে ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে সর্বস্তরের শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের মধ্য থেকে বাছাই করে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রতিবছর ৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিনে শিক্ষারত্ন পুরষ্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।যদিওবা শিক্ষারত্ন বাছাইয়ের প্রশ্নে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন বারে বারে উঠেছে। ২০১১ - ২০১৬ সালসমূহে বছরে কম করে ২০/২৫ জন মাদ্রাসা শিক্ষক/ শিক্ষিকা গণ শিক্ষারত্ন পুরষ্কার পেয়ে এসেছেন। বর্তমানে সরকার অনুমোদিত মাদ্রাসা সমূহে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি অমুসলিম শিক্ষক/ শিক্ষিকা রয়েছেন। অমুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। মাদ্রাসা বোর্ড ও মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সিলেবাস প্রায় সমতুল।মাদ্রাসা বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীরা মেধা ও যোগ্যতায় সমানতালে এগিয়ে চলছে। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রশ্নাতীত। কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষার উত্তরণের উপরে। অথচ রাজ্য সরকার মাদ্রাসা শিক্ষা র সাথে বৈমাত্রেয় সূলভ মনোভাব পোষণ করতে উদ্যত।২০১৭,২০১৮,২০১৯ পর পর তিনবছর একজন করে শিক্ষক /শিক্ষিকা শিক্ষারত্ন পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০২০ সালে একজন শিক্ষক/ শিক্ষিকা কেও শিক্ষারত্ন পুরষ্কার দেওয়া হয় নি।নতুন মাদ্রাসা অনুমোদন দেওয়া তো দূরের কথা অনুমোদিত অানএডেড বেশ কিছু মাদ্রাসার শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ অাজও মাইনে বা ভাতা কিছুই পাননি।ইংলিশ মিডিয়াম মাদ্রাসার শিক্ষক/শিক্ষিকাদের নিয়োগের প্রশ্নেও সংখ্যালঘুদের বঞ্চনা সমানে চলছে। অথচ রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু দরদী বলে ঢাকঢোল পেটাতে ব্যস্ত।বিজেপি অবশ্য সংখ্যালঘুদের তোষণের অভিযোগ সমানে চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু মেকি দরদের মুখোশ খুলে পড়েছে। অাওয়াজের জেলা সম্পাদক মামুদ হোসেন রাজ্যের সংখ্যালঘু দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে শিক্ষারত্ন প্রদানের প্রশ্নে মাদ্রাসা শিক্ষক/শিক্ষিকা গণের বঞ্চনা র তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে অনুমোদিত অানএডেড মাদ্রাসা সমূহের শিক্ষক/শিক্ষিকাদের বেতন ও ভাতা মঞ্জুরের দাবী জানান প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।
No comments