করোনা মহামারি মহিষাদল কে ছাড়ছে না। একের পর এক মহিষাদলে এ আক্রান্ত হচ্ছে।তবু এলাকার মানুষের হুঁশ ফেরেনি এখনো বিনা মাক্সি ঘুরে বেড়াচ্ছে বেশকিছু মানুষ আর সংবাদমাধ্যম বলতে গেলে তাদের সঙ্গে চড়াও হয়।এ ঘটনা ছাড়া জেলার বেশ কিছু কিছু…
করোনা মহামারি মহিষাদল কে ছাড়ছে না। একের পর এক মহিষাদলে এ আক্রান্ত হচ্ছে।তবু এলাকার মানুষের হুঁশ ফেরেনি এখনো বিনা মাক্সি ঘুরে বেড়াচ্ছে বেশকিছু মানুষ আর সংবাদমাধ্যম বলতে গেলে তাদের সঙ্গে চড়াও হয়।এ ঘটনা ছাড়া জেলার বেশ কিছু কিছু জায়গার দেখা যায়। এবারের মহিষাদলের এক ব্যবসায়ী কয়েক দিন আগেই করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। মহিষাদলের সিনেমা মোড় এলাকার প্যাথলজি ব্যবসায়ী শংকর নারায়ণ মাইতি।প্রায় ৭ দিন ধরে বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তিনি।
গতকাল বাড়িতে তাঁর ব্যাপক শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। সূত্রের খবর, শংকরবাবুর প্যাথলজিটি মহিষাদলের সিনেমা মোড়ের সুপার মার্কেটে অবস্থিত। “রাজ প্যাথলজি” নামের সেন্টারটি চালাতেন তিনি।
তাঁর বাড়ি মহিষাদল থানার কেশবপুর জালপাই গ্রামে। দীর্ঘ কয়েক বৎসর ধরে তিনি মহিষাদলে ওই প্যাথলজিটি চালাতেন। তাঁর এই অকাল প্রয়ানে শোকস্তব্ধ এলাকার ব্যবসায়ীরা। নাটশাল-২ গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান রামকৃষ্ণ দাস জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তাঁরা মর্মাহত।তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সমবেদনা জানালেন।
করোনা আবহেও শংকরবাবু প্রতিনিয়ত নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের প্যাথলজির কাজ করতেন। বিপদ বুঝেও প্রতিনিয়ত মানুষকে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছিলেন শংকরবাবু। রামকৃষ্ণবাবু আরও জানান, ৭ দিন আগেই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এলেও নিজেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখছিলেন তিনি।
সেই অর্থে তাঁর কোনও বড় সমস্যা না থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। সোমবার হঠাৎই তাঁর জোরদার শ্বাসকষ্ট হয় আর অকালে তিনি চলে গেলেন অমৃতলোকে। যদিও প্রশাসনিক ভাবে ওই ব্যবসায়ীর করোনা পজিটিভ হয়ে মৃত্যুর বিষয়ে এখনও কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
No comments