সাম্প্রতিক বর্ষার জমা জল দ্রুত নিষ্কাশন, উত্তর জিয়াদা ও শ্রীধরবসান গ্রামের মূল রাস্তাগুলি পাকা করা, জলে ডুবে নষ্ট হয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার এবং ফুল ও মাছচাষীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান সহ ৫ দফা দাবিতে আজ বিকেলে সিদ্ধা-১গ্র…
সাম্প্রতিক বর্ষার জমা জল দ্রুত নিষ্কাশন, উত্তর জিয়াদা ও শ্রীধরবসান গ্রামের মূল রাস্তাগুলি পাকা করা, জলে ডুবে নষ্ট হয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার এবং ফুল ও মাছচাষীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান সহ ৫ দফা দাবিতে আজ বিকেলে সিদ্ধা-১গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচীতে সামিল হন গ্রামের বাসিন্দারা। উত্তর জিয়াদা ও শ্রীধরবসান গ্রাম উন্নয়ন কমিটির ব্যানারে আগত প্রায় শতাধিক বাসিন্দারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে স্মারকলিপি জমা দেন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রাম দুটি সংলগ্ন চার ফুকার যুক্ত দেউলবাড় স্লুইশ ঠিকমত কাজ না করায় এবং কোলাঘাটের দেহাটী লকগেটের ৬টি সাটারের মধ্যে ২টি সাটার অকেজো থাকায় বর্ষার জল ঠিকমতো বের হচ্ছে না। সেজন্য নিম্নচাপের পনেরো/ কুড়ি দিন পরও গ্রামদুটিতে জল জমে অধিকাংশ রাস্তা জলের তলায়। ফুলচাষের জমি এবং পুকুর জলে ডুবে নষ্ট হয়েছে।
কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন, কমিটির উপদেষ্টা নারায়ন চন্দ্র নায়ক, সভাপতি গোপাল সামন্ত, সহঃ সভাপতি মধুসূদন ভৌমিক, যুগ্ম সম্পাদক তপন মাইতি, সুশান্ত পাত্র, কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ পড়িয়া প্রমূখ।
নারায়নবাবু অভিযোগ করে বিক্ষোভ সভায় বলেন, নিবিড় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালুর ৪৪ বছর পরও গ্রাম দুটির কোন একটি মূল রাস্তা পূর্ণাঙ্গরূপে ঢালাই হয়নি। ফলস্বরূপ ফি বছর বর্ষায় স্কুলের কচি-কাঁচা থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত বন্ধ রাখতে হচ্ছে। অথচ নানা ধরনের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের আধিকারিকরা গ্রামোন্নয়নের কাজে বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন বলে বক্তৃতা করে চলেছেন।
উপপ্রধান আগামীকাল থেকেই দেউলবাড় স্লুইশ সম্মুখস্হ যে সমস্ত আবর্জনা ও জঞ্জাল জলনিকাশীতে বাধা সৃষ্টি করছে, তা সরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
No comments